-273ºc,
Saturday, 3rd June, 2023 3:04 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: টি টোয়েন্টি সিরিজ (T20 Series) জয়ের পরে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে (South Africa) হারিয়ে একদিনের সিরিজ জয়ের স্বপ্নে বিভোর শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)-শুভমন গিলরা (Shubman Gill)। কিন্তু বৃহস্পতিবার লখনউয়ে প্রথম একদিনের ম্যাচে কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে ভারতীয় দল। ৪০ ওভারে জয়ের জন্য ২৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেল ব্লু ব্রিগ্রেড। ১৪ ওভারে মাত্র ৩৬ রান তুলেছে টিম ইন্ডিয়া। তার মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন দুই ওপেনার।
এদিন লখনউয়ে প্রথম একদিনের ম্যাচে টসে জিতে প্রোটিয়াদের ব্যাট করতে পাঠান শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)। দেখেশুনে খেলতে থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার জানেমান মালান (Janneman Malan)ও কুইন্টন ডি কক (Quinton de Kock)। ১০ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে তোলেন ৪১ রান। ১৩ ওভারে বল করতে এসে প্রোটিয়ার ওপেনারদের জুটি ভাঙেন শার্দুল ঠাকুর। ৪২ বলে ২২ রান করে শ্রেয়াস আইয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মালান (Janneman Malan)। শার্দুল ঠাকুরের বলে মাত্র আট রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা (Temba Bavuma)। খানিকবাদে কোনও রান না করে কুলদীপ যাদবের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে যান আইডেন মার্করাম (Aiden Markram)। ৭১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় প্রোটিয়ারা। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা রবি বিষ্ণোইয়ের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কুইন্টন ডি’কক (Quinton de Kock)। সাজঘরে ফেরার আগে ৫২ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। এর পরেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে হেনরিখ ক্লাসেন (Heinrich Klaasen) এবং ডেভিড মিলার (David Miller)। দুজনের চওড়া ব্যাটের উপরে ভর করে ৪০ ওভারে চার উইকেটের বিনিময়ে ২৪৯ রান তোলে প্রোটিয়ারা। হেনরিখ ক্লাসেন (Heinrich Klaasen) ৭৪ রানে এবং ডেভিড মিলার (David Miller) ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
৪০ ওভারে জয়ের জন্য ২৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নামে ভারতীয় দল। যদিও সূচনাটি খুব একটা সুখকর হয়নি। মাত্র তিন রান করে রাবাডার (Kagiso Rabada) বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। খানিকবাদে ব্যক্তিগত চার রানে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ওয়েন পার্নেলের (Wayne Parnell) বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ভারত অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)। দেশের হয়ে প্রথম খেলতে নামে ঋতুরাজ গায়কোয়াড (Ruturaj Gaikwad) ও ইশান কিষাণ (Ishan Kishan) জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লড়াই চালাচ্ছেন।