নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার ছেলে, শহরেই লা মার্টিনায়ায় পড়াশুনা। জনপ্রিয় টেনিস তারকা লিয়েন্ডারের তৃণমূলে যোগদান যেন অন্য মাত্রা দিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। জাতীয় স্তরের টেনিস খেলোয়াড় লিয়েন্ডারের সঙ্গেও যোগ রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার পানাজিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তেমনটাই জানিয়েছেন লিয়েন্ডার। তিনি বলেছেন, ‘আমি ১৪ বছর বয়সে যখন ভারতের জন্য টেনিস খেলতে যাই, তখন দিদি ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন। সব সময় উৎসাহ দিতেন। মন্ত্রী হিসাবে সবসময় পাশে থাকতেন। আমি গত ৩০ বছর ধরে বিশ্বে আমাদের দেশের নাম উজ্জ্বল করতে চেষ্টা করেছি টেনিসের মাধ্যমে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছি, খেলেছি দেশের জন্য। দিদি সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন।’
লিয়েন্ডারের জন্মসূত্রে বাংলা যোগ রয়েছে। বাংলার কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বংশধর লিয়েন্ডার। তাঁর মা জেনিফার পেজ কবির প্রপৌত্রী। লিয়েন্ডারের বাবা ভেস পেজ জন্মসূত্রে গোয়ান। যদিও ভেস কলকাতাতে থেকেছেন বেশি। সেই সূত্রেই কলকাতার লা মার্টিনিয়ারে পড়াশোনা লিয়েন্ডারের। একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন লিয়েন্ডার। ভারতের খেলাধুলোয় সর্বোচ্চ সম্মান খেলরত্ন পেয়েছেন। কেন্দ্র তাঁকে পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, অর্জুন পুরস্কারেও সম্মানিত করেছে। এবার রাজনীতিতে। গোয়ায় আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনকে যখন পাখির চোখ করেছে তৃণমূল তখনই একের পর এক তারকার তৃণমূলে আসা শক্তি বাড়াচ্ছে গোয়া তৃণমূলে।
লিয়েন্ডার এও জানিয়েছেন, ‘আজ অবসরের পর আমি চাইব এক মহিলা, যিনি বিপুল সাহসে এগিয়ে চলেছেন, তাঁর পাশে দাঁড়াতে। আমি চাইব রাজনীতির মাধ্যমে দেশের মানুষের সেবা করতে। চেষ্টা করব দেশের যুব সমাজের হয়ে কাজ করতে। সেই কারণে আমি দিদির সঙ্গে এসে যোগ দিয়েছি। আমার কাছে দিদি সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। এ দেশে জাত-ধর্ম-বর্ণের ভিত্তিতে কোনও বিভাজন তৈরি করা যায় না। আমি সেই বৃহত্তম গণতন্ত্রের একটা অংশ হতে চাই, কাজ করতে চাই। সেই কাজে দিদির পাশে দাঁড়াতে চাই।’