আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হুইল চেয়ারের এক পাশে নেইমারের অটোগ্রাফ। অন্যদিকে, ডেভিড বেকহ্যামের। সেই হুইল চেয়ারে বসেই এক স্টেডিয়াম থেকে অন্য স্টেডিয়ামের প্লে স্টেশনে গিয়ে ম্যাচ দেখছে রোকো ম্যাকগোয়ান। আক্রান্ত সেরেব্রাল পালসিতে। এখনও পর্যন্ত চারটি ম্যাচ দেখেছ রোকো। চারটি ম্যাচ হয়েছিল ৯৭৪, খালিফা ইন্টারন্যাশনাল, এডুকেশন সিটি এবং আল থুমানা। রোকোর সব থেকে পছন্দের স্টেডিয়া আল থুমানা।
রোকা জন্মসূত্রে স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা। যদিও বেড়ে ওঠা কাতারে। সংবাদমাধ্যমকে রোকো জানিয়েছে, প্রত্যেকবার বিশ্বকাপ খেলা দেখত টিভিতে। বিশ্বকাপের আসর কাতারে বসছে –এই খবর পাওয়ার পর থেকে সে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। যেহেতু শারীরিকভাবে সে বিশেষভাবে সক্ষম, তাই স্টেডিয়ামে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে কি না, সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে শুরু করে। শোনে স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখার জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। স্বচক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে পেয়ে খুশি রোকো।
রোকো জানিয়েছে, বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ সে দেখেছে আল থুমা স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়াম কেমন দেখতে হয়, এতদিন সে এর মুখে শুনেছে। আর স্টেডিয়ামে ঢোকার পর তার মনে অদ্ভুত একটা আনন্দ অনুভূত হয়। চারিদিকে সবুজ ঘাষ। গ্যালারিতে মানুষের ভিড়। দলকে সমর্থন জানাতে চিৎকার। রেফারির বাঁশি। সব মিলিয়ে একটা অদ্ভুত পরিবেশ। কোনওদিন এই ছবি দেখতে পাব, তা কল্পনাও করতে পারিনি। একটা আশ্চর্য জগৎ। আশ্চর্য পরিবেশ। রোকোর সঙ্গে গিয়েছিল ওর বাবা। কাতার সরকারের ব্যবস্থাপনায় খুশি।
আরও পড়ুন শরণার্থী, অনাথদের জন্য খেলা দেখার ব্যবস্থা কাতারের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার