নিজস্ব প্রতিনিধি: একি ঘটল বায়ার্ন ড্রেসিংরুমে। ভালভার্দো ও বায়ানার পর এবার নাম উঠল সাদিও মানে এবং লেরয় সানে। গত বুধবার চ্যাম্পিয়্ন্স লিগের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে জার্মানির ক্লাবটি মুখোমুখি হয় ম্যাঞ্চেস্টার সিটির। সেই ম্যাচে পরাজয় ঘটে বায়ার্নের। এই পরাজয়ের পরই ড্রেসিংরুমে উত্তপ্ত বাক্য মিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন সাদিও এবং লেরয়। তারপরই ঘটল সেই জঘন্যতম ঘটনাটি। সাদিও মানে ঘুঁষি মারলেন সানে-কে। সেই ঘুঁষিতেই সানে-র ঠোঁট কেটে গিয়েছে বলে দাবি করেছে একটি জার্মান সংবাদপত্র। তবে শেষ পর্যন্ত সতীর্থদের হস্তক্ষেপে ঘটনাটি বেশিদূর এগোয়নি।
জার্মান সংবাদপত্রটি দাবি করে, মাঠের মধ্যেই মানের সঙ্গে সানে যেভাবে কথা বলছিলেন তাতেই নাকি মেজাজ বিগরে যায় সেনেগাল তারকার। সানের ওপর তখন থেকে মেজাজ বিগরে যায় মানের। যার রেশ গিয়ে পড়ে ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমের ভিতরে।
আরও জানতে পড়ুন : ধোনির হাঁটুর চোটের চিকিৎসা চললেও দু সপ্তাহ বাইরে মাঘেলাhttps://www.eimuhurte.com/ipl-2023/ipl-2023-injured-dhoni-and-baghela/
উল্লেখ্য সাদিও মানে বর্তমানে আফ্রিকার একজন স্বনামধ্যন ফুটবলার। দুবছর আফ্রিকার ফুটবলার অফ দ্য ইয়ার নির্বাচিতও হয়েছেন। কাজেই তাঁর মতো একজন ফুটবলারের এইরকম আচরণ দেখে হতবাক সকলেই।
তবে ফুটবল মহল মনে করছেন ব্রায়ার্ন যে ম্যাচে চেলসির বিরুদ্ধে হেরেছে সেই ম্যাচে একদম শেষ লগ্নে মাঠে নেমেছিলেন সানে। এবং মাঠে নেমেই প্রতিপক্ষ বায়ার্নের গোল করে তিনটি শটও তিনি। তবে কি সানের খেলা মানের পছন্দ হল না, নাকি মানে তাঁর কাছ থেকে আরও বেশি কিছু আশা করেছিলেন। যা নিয়ে এখনও ধ্বন্দে রয়েছে ফুটবল মহল।
অবশ্য এই বিষয়ে এখনও কোনও মতামত জানা যায়নি বায়ার্ন মিউনিখের পক্ষ থেকে। তাদের এই নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন ফুটবল সমর্থকরা।