এই মুহূর্তে




শামির ৫ উইকেট, হৃদয়ের শতরানের দৌলতে ২২৮ রান তুলল টাইগাররা

নিজস্ব প্রতিনিধি, দুবাই: প্রাথমিক ধাক্কা সামলে তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলির দুরন্ত ব্যাটিংয়ের দৌলতে দুর্দান্ত কামব্যাক বাংলাদেশের। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুই ব্যাটারের সৌজন্যেই লড়াইয়ের মতো রসদ পেলেন টাইগাররা। প্রথমে ব্যাট করে  ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রান তুললেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। আর বাংলাদেশের লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছনোর সুযোগ করে দিয়েছে ভারতীয়দের জঘন্য ফিল্ডিং। ভারতের হয়ে মহম্মদ শামি ৫৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন।    

দুবাইয়ের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু শুরুটা ভাল হয়নি টাইগারদের।  প্রথম ওভারের শেষ বলে মহম্মদ শামিকে কভার ড্রাইভ মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষক রাহুলের হাতে বন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। ৫ বলে শূন্য রান করেন তিনি। পরের ওভারে হর্ষিত রানার বলে শর্ট কভারে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন টাইগার অধিনায়ক শান্ত। তাঁর অবদানও শূন্য। জোড়া ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই শামির বলে কাট করতে গিয়ে স্লিপে শুভমন গিলকে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১০ বলে ৫ রান করেন তিনি। নবম ওভারে অক্ষর পটেলকে আক্রমণে নিয়ে আসেন রোহিত শর্মা। আর বল হাতেই বাংলাদেশ শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন অক্ষর। দ্বিতীয় বলেই রাহুলের গ্লাভসে বন্দি হয়ে ফেরেন তানজিদ হাসান (২৫) । পরের বলে অক্ষরকে সামনের পায়ে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক রাহুলকে ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহিম। ০ রানে ফেরেন তিনি। ৯ ওভারে মাত্র ৩৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েন টাইগাররা।

সাত নম্বরে ব্যাট করতে এসে প্রথম বলেই ক্যাচ তুলেছিলেন  জাকের আলি। কিন্তু সেই ক্যাচ ফস্কান ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এর পরে তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন জাকের। যদিও ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে লং অফে জাকেরের ক্যাচ ছেড়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য। দু’দুবার জীবন পেয়ে আর পিছনে তাকাননি জাকের। ৮৭ বলেই অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। খানিকবাদে অর্ধশতরান পেয়ে যান তাওহিদ হৃদয়-ও। ৫০ করতে তিনি তিনি নিয়েছেন ৮৫ বল। অর্ধশতরানের পরেই খোলস ছেড়ে বের হন হৃদয়। কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজার টানা দুই ওভারে দুই ছক্কা হাঁকান। ৪৩তম ওভারে জাকেরকে (৬৮) ফিরিয়ে ১৫৪ রানের জুটি ভাঙেন শামি। তবে আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন জাকের। এদিন তিন উইকেট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একদিনের ম্যাচে ২০০ উইকেটের মালিক হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন শামি। জাকের ফেরার পরে আট নম্বরে নামা রিশাদ হোসেনও হাত খুলে খেলতে থাকেন। ১১ বলে ১৮ রান করে হর্ষিত রানার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তানজিম হাসান সাকিবকে (০) ফেরান শামি। খুঁড়িয়ে খেলেও ১১৪ বলে শতরান পূর্ণ করেন তাওহিদ। নিজের শেষ ওভারে তাসকিন আমেদকে (৩) ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেন শামি। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে তাওহিদকে (১০০) ফিরিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দেন হর্ষিত রানা।   

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফেডারেশনকে খোঁচা, ISL নিয়ে সরব সৌভিক চক্রবর্তী

গোল অ্যাসিস্টে রেকর্ড মেসির, এই প্রথম সেমিফাইনালে মায়ামি

বিশ্বজয়ী রিচাকে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসাবে দেখতে চান মমতা-সৌরভ

ধোনি-কোহলির সঙ্গে একই আসনে সূর্য, কী নজির গড়লেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক?

ব্রিসবেনে নয়া বিশ্বরেকর্ড অভিষেক শর্মার, সিংহাসনচ্যূত করলেন অসি খেলোয়াড়কে

ক্রিকেটের নন্দনকাননে বঙ্গভূষণে সম্মানিত রিচা, তুলে দেওয়া হল সোনার ব্যাট বল

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ