নিজস্ব প্রতিনিধি, পুণে: দুই দলই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। যদিও দুই দলের কাছেই আগামী ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সরাসরি খেলার সুযোগ রয়েছে। আর সেই সুযোগ নিশ্চিতের লক্ষ্যেই আজ বুধবার পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস।
সাত ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়ে পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে রয়েছে ইংল্যান্ড। গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের কাছে চলতি বিশ্বকাপ দুঃস্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নয়। জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, ডেভিড মালান, বেন স্টোকস, জস বাটলাররা ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের বোলারদের সামনে ‘ত্রাস’ হয়ে উঠতে পারেননি। বল হাতেও মার্ক উড, ক্রিস ওকসরা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। অথচ প্রতিযোগিতা শুরুর আগে সুনীল গাভাসকার-সহ একাধিক ক্রিকেট কিংবদন্তীই ইংল্যান্ডকে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন বলে বাজি ধরেছিলেন। শুধু তাঁদেরই নয়, আপামর ক্রিকেট প্রেমীদেরই হতাশ করেছে বাটলার বাহিনী।
অন্যদিকে, দীর্ঘ ১২ বছর বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাওয়া নেদারল্যান্ডস সাত ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে হারিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন স্কট এডওয়ার্ডসরা। বেশ কয়েকটি ম্যাচে প্রতিপক্ষের কাছে অভিজ্ঞতার অভাবের কারণেই হার মানতে হয়েছে ডাচদের। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, দলের ওপেনাররা শুরুতে বড় রানের জুটি গড়তে পারছেন না। নিচের সারির ব্যাটাররাও তেমন দাগ কাটতে পারছেন না। মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা দলকে ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দিলেও লোগান ভ্যান বিক, আরিয়ান দত্তরা বল হাতে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের তেমন সমস্যায় ফেলতে পারছেন না।
একদিনের ক্রিকেটে মুখোমুখি সাক্ষাতে অবশ্য নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে অপরাজিত ইংল্যান্ড। দু’দলের মধ্যে মোট ছয় বার দেখা হয়েছে। ছয় বারই জিতেছেন ইংলিশরা। বিশ্বকাপের আসরেও কখনই ডাচদের কাছে হার মানেনি ইংল্যান্ড। দুদলের প্রথম সাক্ষাত হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। ইংল্যান্ড ওই ম্যাচ জিতেছিল ৯৬ রানে। দ্বিতীয়বার দেখা হয় ২০০৩ সালে। সেবার ইংল্যান্ড জয়ী হয়েছিল ৬ উইকেটে। ২০১১ সালে শেষ সাক্ষাতে বেন স্টোকসরা ডাচদের হারিয়েছিলেন ৬ উইকেটে।