নিজস্ব প্রতিনিধি, জয়পুর: ঘরের মাঠে ব্যাটিং সহায়ক পিচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিলেন সঞ্জু স্যামসনরা। এক সময়ে ৩৬ রানে তিন উইকেট হারিয়েও ফেলেছিলেন। আর তখনও ব্যাট চওড়া করে একা কুম্ভ হয়ে আবির্ভূত হলেন রিয়ান পরাগ। আর তার পরে ম্যাচের রং বদলাতে লাগল প্রতি মুহুর্তে। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তুলেছে রাজস্থান রয়্যালস। তার মধ্যে ৮৪ রান করেছেন শুধু পরাগ। তাঁকে খানিকটা সঙ্গত করেছেন ধ্রুব জুরেল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
বৃহস্পতিবার জয়পুরের সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে টসে জিতে রাজস্থানকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। দ্বিতীয় ওভারেই স্বাগতিকদের জোর ধাক্কা দেন বাংলার বোলার মুকেশ কুমার। মাত্র ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন যশস্বী জয়সোয়াল। এর পরে ষষ্ঠ ওভারে রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে (১৫) ফেরান খালিল আহমেদ। জস বাটলারকেও (১১) দ্রুত ফিরিয়ে দেন কুলদীপ যাদব। মাত্র ৩৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় রাজস্থান। তখনই কার্যত ফাটকা খেলে পাঁচ নম্বরে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে নামিয়ে দেন স্বাগতিকরা। দলের বিপদে বুক চিতিয়ে রুখে দাঁড়ান ভারতীয় অভিজ্ঞ স্পিনার। ১৯ বলে ২৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে দলের চাপ অনেকটা কাটান।
এর পরে দ্রুত রান তোলার দিকে মনযোগ দেন রাজস্থানের তরুণ ব্যাটার রিয়ান পরাগ। প্রতিপক্ষের বোলারদের বিষাক্ত আক্রমণ নির্বিষ করে দেন তিনি। মুকেশ কুমার-এনরিক নোখিয়েদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেন। নিজের অর্ধশতরানের পরে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। পরাগকে যোগ্য সঙ্গত করেন ধ্রুব জুরেলও। তিনি ১২ বলে মূল্যবান ২০ রান যোগ করেন। এক সময়ে মনে হচ্ছিল ১৬০ কিংবা ১৬৫ রানে থেমে যাবে রাজস্থান। কিন্তু শেষ দুই ওভারে কার্যত তাণ্ডব চালান পরাগ। শেষ ওভারে নোখিয়ের বলে তিনি নেন ২৫ রান। আর তার ফলেই লড়াইয়ের রসদ পেয়ে যায় রাজস্থান। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন পরাগ। অন্য প্রান্তে শিমরন হেটমেয়ার ৭ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।