এই মুহূর্তে




চিপকের ঘূর্ণি পিচে চেন্নাইকে দুরমুশ করলেন রাহানেরা




নিজস্ব প্রতিনিধি, চেন্নাই: ব্যাটে-বলে সমান দাপট দেখিয়ে চেন্নাই সুপার কিংসকে উড়িয়ে শুক্রবার চলতি আইপিএলে তৃতীয় জয় ঘরে তুললেন অজিঙ্ক রাহানেরা। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান তুলেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। জবাবে ৫৯ বল বাকি থাকতেই হাতে আট উইকেট নিয়ে জয়ের লক্ষ্য হাসিল করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেই সঙ্গে নেট রানের নিরিখে এক লাফে ছয় নম্বর থেকে তিন নম্বরে উঠে এলেন রাহানেরা।

চিপক স্টেডিয়ামের ঘূর্ণি পিচে এদিন টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে চেন্নাই। চতুর্থ ওভারে মঈন আলির বলে সাজঘরে ফেরেন ডেভন কনওয়ে (১২)। স্কোর বোর্ডে কোনও রান যোগ হওয়ার আগেই হর্ষিত রানার বলে ছয় মারতে গিয়ে নাইট অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের তালুবন্দি হয়ে আউট হলেন রাচিন রবীন্দ্র। পর পর দুই উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ঠকঠক করে কাঁপতে থাকে চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন দলের রান দাঁড়ায় ৩১/২। তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে সেই ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা চালান বিজয় শঙ্কর ও রাহুল তেওয়াতিয়া। তবে ভাগ্যবান ছিলেন বিজয়। তাঁর ক্যাচ দু’বার ফস্কান কলকাতার ফিল্ডাররা। একবার সুনীল নারাইন ও এক বার বেঙ্কটেশ আয়ার সহজ ক্যাচ ফেললেন। শেষ পর্যন্ত বরুণ চক্রবর্তীর বলে মঈনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শঙ্কর (২৯)। তৃতীয় উইকেটে যোগ হয় ৪৩ রান।

১১ তম ওভারে বল করতে এসে রাহুলের (১৬) স্টাম্প ছিটকে দেন সুনীল। আর এর পরেই তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং অর্ডার। ১৩তম ওভারে হর্ষিতের বলে বৈভবের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (১)। পরের ওভারে নারাইনের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন রবীন্দ্র জাদেজা।  এর পরের ওভারে বরুণের বলে বৈভবের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার দীপক হুডা (০)। ৯ নম্বরে নামা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও চরম ব্যর্থ হন। চার বলে ১ রান করে নারাইনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন। ১৮তম ওভারে নূর আমেদকে (১) ফেরান বৈভব অরোরা। ১৪ রানে ছয় উইকেট খুঁইয়ে চরম লজ্জায় পড়ে যায় চেন্নাই। শেষ উইকেটে শিভম দুবে ও অংশুল কম্বোজ অল আউটের লজ্জা বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা চালান। দুজনে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে দলকে ১০০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান তোলে চেন্নাই। দুবে ৩১ এবং কম্বোজ ৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

জয়ের জন্য ১০৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই তাণ্ডব চালাতে শুরু করেন কেকেআরের দুই ওপেনার কুইন্টন ডি’কক ও সুনীল নারাইন। প্রথম চার ওভারেই ৪৬ রান যোগ করেন দুজনে। পঞ্চচম ওভারের প্রথম বলে অংশুল কম্বোজ ডি’কককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন। তিন বিশাল ছক্কার সাহায্যে ১৬ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার। তবে তাতে বিন্দুমাত্র অসুবিধায় পড়তে হয়নি কেকেআর-কে। বরং তাণ্ডবলীলা চালিয়ে যেতে থাকেন সুনীল নারাইনরা। অধিনায়ক রাহানের সঙ্গে জুটি বেঁধে দ্বিতীয় উইকেটে ১৮ বল ৯ রান যোগ করেন। নারাইনকে ফেরান নূর আমেদ। আউটের আগে দুটি চার ও পাঁচ ছক্কায় মাত্র ১৮ বলে ৪৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে যান ক্যারিবীয় ব্যাটার।

এর পর রিঙ্কু সিংহকে সঙ্গে নিয়ে দেখেশুনে খেলে দলকে ১০.১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন রাহানে। তিনি ১৭ বলে ২০ এবং রিঙ্কু ১২ বল ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। বল হাতে তিন উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ১৮ বলে ৪৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সুনীল নারাইন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পঞ্জাব বনাম বেঙ্গালুরুর ম্যাচ শেষ হতেই মাঠে শ্রেয়সের সঙ্গে বিরাট কোহলির তর্কাতর্কি!

‘দাতব্য করার জায়গা নয়’, তরুণ খেলোয়াড়দের উপরে রাজস্থান রয়্যালসের বাজিতে ক্ষুব্ধ প্রাক্তন ক্রিকেটাররা

বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে প্রত্যাবর্তন ‘অবাধ্য’ ২ ক্রিকেটারের, কারা ঢুকলেন?

বিরাট কোহলিকে ছাপিয়ে গেলেন রোহিত শর্মা, কী নজির গড়লেন “হিটম্যান”?

ইডেনে আজ হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি কেকেআর-গুজরাত, বাজিমাত করবে কে?

রোহিত-সূর্যের দাপটে চেন্নাইকে দুরমুশ করে জয়ী মুম্বই

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর