নিজস্ব প্রতিনিধি : আরও একটি রুদ্ধশ্বাস ডার্বি ম্যাচ। টান টান উত্তেজনায় মোহনবাগানের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। ৮৬ মিনিটের মাথায় গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। ম্যাচে সমতা ফেরায় পেত্রাতোস। ২-২ গোলে ড্র হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের ম্যাচ।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মধ্যে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই শুরু হয়। খেলা শুরুর দুই মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের মধ্যেই প্রথম গোলটি পেনাল্টি বক্সে একটি ক্রস পান অজয় ছেত্রী। অজয় ছেত্রী সেই সুযোগ মিস করেনি। বল শূন্যে থাকাকালীনই গোল করেন অজয়। তিন মিনিটের মাথাতেই এক গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এরপরই পাল্টা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল বক্সে লাগাতার আক্রমণ শুরু করে সবুজ-মেরুণ শিবির। এরপর ১৬ মিনিটের মাথাতেই সাদিকু পেনাল্টি বক্সে গোল করার সুযোগ পান। সেই সুযোগটি মিস করেননি মোহনবাগানের এই খেলোয়াড়।
ম্যাচ সমতায় ফেরার পর ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগার দুই শিবিরের ফুটবলাররাই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে। ৩১ মিনিটের মাথায় একটি ভুল ট্যাকেল করতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন শুভাশিস বসু। এরপরও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে মোহনবাগান। ৩৯ মিনিটের মাথায় গোল করার আরেকটি সুবর্ন সুযোগ পেয়েছিলেন সাদিকু। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। প্রধমার্ধের শেষের মুখে মোহনবাগান বক্সে লাগাতার আক্রমণ শানাতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কোনও সুযোগই কাজে লাগাতে পারেনি।
এদিন ৫৪ মিনিটের মাথায় মহেশকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ভুল ট্যাকেট করে বসে মোহনবাগানের ডিফেন্ডাররা। মহেশকে ফাউল করার মাশুল গুনতে হয় মোহনবাগান খেলোয়াড়দের। পেনাল্ট দেন রেফারি। এই সুযোগ হাতছাড়া করেননি ক্লিমেন সিলভা। পেনাল্টিতে আরও এক গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি ম্যাচ। মাঝে অবশ্য আচমকা মাঠের মধ্যে উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মোহনবাগানের খেলোয়াড় পেত্রাতোসের পা থেকে বল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ইস্টবেঙ্গলের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে পেত্রাতোসের ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর কিছুটা মেজাজ হারান পেত্রাতোস। এদিকে ম্যাচে সময় নষ্ট করায় হলুদ কার্ড দেখতে হয় ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ক্লিমেন সিলভাকে। এরইমধ্যেও ম্যাচে সমতা আনার চেষ্টা করে মোহনবাগান। শেষপর্যন্ত ৮৬ মিনিটের মাথায় গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান পেত্রাতোস।