নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৫ জুন ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার কথা ছিল দিল্লি পুলিশের। সেই মতো আদালতে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে চার্জশিট পেশ করা হয়। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে পসকো আইন থেকে রক্ষা করার আর্জি দিল্লি পুলিশের কর্তাদের।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই আন্দোলনরত কুস্তিগীরদের অনুরাগ ঠাকুর কথা দিয়েছিলেন ১৫ জুন ব্রিজভূষণের চার্জশিট দেওয়া হবে। সেই মতো দিল্লি পুলিশ আদালতে চার্জশিট পেশ করে। কিন্তু সেই চার্জশিটে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ব্রিজভূষণকে পসকো আইন থেকে রক্ষা করার চেষ্টা শুরু করল দিল্লি পুলিশ।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পাতিয়ালা হাউস কোর্টে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে ৫০০ পাতার চার্জশিট পেশ করা হয়। সেই রিপোর্টে নাকি দিল্লি পুলিশ আদালতে আবেদন জানায়, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে পসকো আইনে তদন্ত শেষ হওয়ার পর পুলিশ ১৭৩ সিআরপিসি ধারায় আদালতের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেয় এবং সেই রিপোর্টে অভিযোগকারীর বক্তব্য শোনার পর পসকো আইনের মামলা বাতিলের অনুরোধ করা হয়েছে।
তবে আন্দোলনরত কুস্তিগীরদের এফআইআর-এর ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ আইপিসি ৩৫৪, ৩৫৪এ, ৩৫৪ডি এবং আইপিসি ১০৯. ৩৫৪এ, ৫০৬ ধারায় অপরাধের জন্য চার্জশিট দাখিল করেছে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে।
অর্থ্যাৎ কেন্দ্রীয় সরকার প্রমাণ করে দিল যে তাঁরা দু-পক্ষকেই খুশি রাখার নীতি অবলম্বন করতে চাইছে। এখন দেখার আদালতে দিল্লি পুলিশের এই চার্জশিটের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কুস্তিগীররা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
কেননা তাঁরা কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে বৃহস্পতিবার অবধি তাঁরা তাঁদের আন্দোলন স্থগিত রাখবেন। এখন দিল্লি পুলিশ আদালতে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যে ফাইল জমা দিয়েছে তাতে তাঁরা খুশি হবেন না এটাই স্বাভাবিক। কেননা তাঁদের মূল আন্দোলনের বিষয় থেকেই ব্রিজভূষণকে রক্ষা কবচ দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তবে এই বিষয়ে এখনও অবধি কোনও মন্তব্য করেননি আন্দোলনরত কুস্তিগীররা।