নিজস্ব সংবাদদাতা : তিনি যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন তা ফের একবার প্রমাণ করলেন রাজস্থান রয়্যালসের স্পিনার যজুবেন্দ্র চাহাল। ৪ ওভার বল করে ১৭ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে একাই শেষ করে দিলেন এই স্পিনার। বাকি কাজটুকু সারলেন হোল্ডার ও বোল্ট। তারফলে ৭২ রানে ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল রাজস্থান রয়্যালস।
রবিবার ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের তিন ব্যাটার যশস্বী, বাটলার ও সঞ্জু পরস্পর তাঁরা পূর্ণ করলেন অর্ধ্বশতরান। শুরুতেই রাজস্থানকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেন দুই ওপেনার বাটলার ও যশস্বী। ৩৭টি বলের সাহায্যে ৯টি চারের সাহায্যে ৫৪ রান করেন যশস্বী।
আরও জানতে পড়ুন : সন্দেশকে নিতে মরিয়া এফসি গোয়াhttps://www.eimuhurte.com/sports/sandesh-move-to-fc-goa/
অন্য দিকে, বাটলার ২২টি বল খেলে ৭টি চার ৩টি ছয়ের সাহায্যে একই রান করেন। বাকিদের মধ্যে দলনেতা সঞ্জুও নিজের অর্ধ্বশতরান পূর্ণ করলেন মাত্র ৩০টি বল খেলে। যারমধ্যে ২টি চার ও চারটি ছয় রয়েছে। ব্যক্তিগত ৫৫ রান করেন তিনি। এরপর শেষ বেলায় জ্বলে উঠলেন সিমরন। ১৬ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেলন তিনি।
হায়দরাবাদ বোলারদের মধ্যে ভুবনেশ্বর কুমার, ওয়াশিংটন সুন্দর এদিন খালি হাতেই ফিরলেন। ফারুকি ৪ ওভার বল করে ৪১ রান দিয়ে ২ উইকেট পকেটে পোড়েন। নটরাজনও নেন দুটি উইকেট। আর বাকি উইকেটটি নেন উমরান মালিক।
কুড়ি ওভারে ২০৪ রান টার্গেট যে যথেষ্ট বড় এটা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। প্রতিটি বল শুরু থেকেই হিট করে খেলতে হবে, না হলে সমূহ বিপদ। সেই লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামে হায়দরাবাদ। কিন্তু শুরুতেই তাঁদের ধাক্কা খেতে হয় ওপেনার অভিষেক শর্মার উইকেট হারিয়ে। অভিষেককে শূণ্য রানে সাজঘরে পাঠান ট্রেন্ট বোল্ট। এরপর তাঁর শিকার হলেন রাহুল ত্রিপাঠি। তাঁকেও কোনও রান করার সুযোগ দিলেন না এই অভিজ্ঞ বোলার। এরপর হ্যারি বুককে ১৩ রানে আউট করেন চাহাল।
একের পর এক উইকেট যখন পড়তে শুরু করেছে হায়দরাবাদের, ঠিক তখন একা কুম্ভ রক্ষা করার মতো অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে মায়াঙ্ক আগরওয়াল। বুক ফিরে যাওয়ার পর মায়াঙ্ক জোট বাঁধেন ওয়াশিংটনকে নিয়ে।সঠিক সময়ে মায়াঙ্ককে প্যাভিলয়নের পথ দেখান চাহাল। ততক্ষণে যেন নিজামের দলটির ব্যাটারদের কাছে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন যজুবেন্দ্র চাহাল নামের এক তরুণ বোলার। মায়াঙ্ক ফিরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরই পথ অনুসরণ করেন ওয়াশিংটনও। মাত্র একটি রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। জেসন হোল্ডারের বলে ওয়াশিংটন ধরা পড়েন সিমরনের কাছে।
এরপর গ্লেন ফিলপসকেও ফিরিয়ে দেন অশ্বিন। এরপর কিছুটা রান তাড়া করার চেষ্টা করেন আদিল রশিদ। তাঁকে ঠিক সময়েই থামিয়ে দেন চাহাল। ভুবিও এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন। চাহালের শিকার হলেন তিনিও। হায়দরাবাদের হয়ে অপরাজিত থেকে যান আব্দুল সামাদ ৩২ রানে এবং উমরান মালিক ১৯ রানে।