আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একটা সময় ম্যাচের হাল দেখে সকলেই ধরে নিয়েছিল – এই ম্যাচে জিম্বাবোয়ে (Zimbabwe)একশো করতে পারবে না। তাদের এই আশঙ্কার মধ্যে যৌক্তকতাও ছিল যথেষ্ট। রান উঠেছে মাত্র ৬৭ (67/6) । হাতে মাত্র চার উইকেট। খুব টেনে-টুনে হলে ৭০-৮০ রান।
কিন্তু রাজনীতির সেই বহুশ্রুত কথা খেলার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য – রাজনীতি কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। একই কথা প্রযোজ্য হয় খেলার ক্ষেত্রেও। আর সেটা হাতে কলমে করে দেখালেন রায়ান বার্ল (Ryan Burl)। মাত্র ২৮ বল খেলে রায়ান তোলেন ৫৪ রান। আর এক ওভারে ৩৪ রান। স্টেডিয়ামে (stadium) হাজির দর্শক ওই ব্যাটিং দেখে বিস্মিত। চার-ছয়ের বন্যা। ৩৪ রান এসেছে বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি থেকে। ওভার বাউন্ডারি পাঁচটি (five sixes), একটি বাউন্ডারি (four)। বাংলাদেশের এমন একজনও বোলার ছিল না, যাকে বেধরক ঠেঙাননি রায়ান। আর যে বোলারকে প্রত্যেক বলে পিটিয়েছেন, তাঁর নামটাও জানিয়ে দেওয়া দরকার। ‘ভাগ্যবান’ বোলারের নাম নাসিম আহমেদ (Nasum Ahmed)। ওভার শেষের পর তাকে দেখা গেল মুখটা ঠিক যেন বাংলার পাঁচের মতো।
জিম্বাবোয়ের (Zimbabwe) বিরুদ্ধে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্ট সিরিজের ম্যাচ ছিল তিনটি। দুটি দল একটি করে ম্যাচে জয় পাওয়ায় তৃতীয় ম্যাচটি (third and final) নির্ধারক ম্যাচ হয়ে ওঠে। ঘরের মাঠে খেলা হওয়া জিম্বাবোয়ে কার্যত চাপের মুখে পড়ে যায়। ফলে তৃতীয় ম্যাচে জয় হাসিল করা ছাড়া তাদের কাছে দ্বিতীয় কোনও রাস্তা ছিল না। সেই লক্ষ্য তারা পূরণ করেছে।