নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার : তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধির কারনে বৃহস্পতিবার গজল ডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় আরও জল ছাড়া হয়েছে। সেচ দপ্তরের ফ্লাড কন্ট্রোল রুম থেকে পাওয়া শেষ খবরে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ২ টা,৩টা,৪টা এই তিন দফায় গড়ে ৪০০০ কিউসেক করে জল ছাড়া হয়েছে। এই জল জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) সংলগ্ন তিস্তা নদী এলাকায় রাতে এসে পৌছাবে। ফলে জলস্তর আরও বাড়বার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে জলমগ্ন ধূপগুড়ির গাদং – ২ অঞ্চলের বারহালিয়া কলোনী এবং গাদং -১ অঞ্চলের কাজিপাড়া(Kajipara) গ্রামের মুন্ডাপাড়া। পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হবার পরেই বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে সেখানে। এখনও পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন না হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের কেউই সেভাবে বন্যার্তদের কাছে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছতে পারলেন না। তবে সন্ধ্যা নাগাদ দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এদিন সকালের পর আর বৃষ্টি ছিল না, তবে দুপুর আড়াইটে নাগাদ আচমকা ডুডুয়া নদীর জল বাড়তে থাকে। যার কারণে ধূপগুড়ির গাদং ১ অঞ্চলের মুন্ডাপাড়া ও গাদং ২ অঞ্চলের বারহালিয়া কলোনী জলের তলায় ডুবে যায়।
দুই এলাকাতেই বহু জমিতে ক্ষেতের ফসল ডুবে গেছে। নদীর জল বাড়ায় গবাদি পশু, শিশু, বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনলেও বহু মানুষ দুপুরের খাবার না খেয়েই ছিলেন বাড়ির মধ্যেই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাঁধের দাবিতে মুন্ডাপাড়ার বাসিন্দারা ভোট বয়কট করেন। বারহালিয়া কলোনীর মানুষেরও দীর্ঘদিন বাঁধের দাবি জানিয়ে আসছে। বাঁধ না থাকায় প্রতি বছর বন্যায় ডুবে যায় এই দুই এলাকা। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ার জেলায়(Alipurduar District) গত তিনদিন ধরে ক্রমাগত বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠেছে পাহাড়ি নদী বাসরা, গাবুর বাসরা, পানা। এর ফলে বন্যা দেখা দিয়েছে কালচিনির ব্যাপক অংশ জুড়ে। মেচপাড়া চা বাগানে জলের তোড়ে ভেঙেছে রাস্তা। বন্যায় আটক বেশ কিছু পরিবার। বন্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা। এনডিআরএফ(NDRF) এর কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছে দেন শুকনো খাবার।