নিজস্ব প্রতিনিধি : নতুন করে ফাইলেরিয়া রোগের জীবাণুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল ধূপগুড়িতে। জেলা স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখমও পর্যন্ত ১৬ জনের শরীরে এই রোগের জীবাণু ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছেন স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকরা।
জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলায় চা বাগান অধ্যুষিত এলাকার মানুষদের রক্তে ফাইলেরিয়া রোগের জীবাণু মিলেছে। হলদিবাড়ি চা বাগানে চার জনের শরীরে ও কারবালা চা বাগানের ১২ জনেপ শরীরে এই রোগের জীবাণু মিলেছে। জলপাইগুড়ি জেলার সাতটি ব্লক ও তিনটি পুরসভা মিলিয়ে মোট ২০টি জায়গায় সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষা চলে রাত আটটা থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্ত। কিন্তু কেন রাতের দিকে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কিউলেক্স মশা এই রোগের বাহক। বিশ্রামরত অবস্থায় পরীক্ষা করলে এই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। সেইকারণেই রাতের দিকে এই সমীক্ষার কর্মসূচি নেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে এই রোগ নিয়াময়ে জেলা প্রশাসনের তরফে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে ৫০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীর একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ধূপগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অঙ্কুর চক্রবর্তী জানান, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ফাইলেরিয়া প্রতিরোধের জন্য ওষুধ খাওয়ানোর কর্মসূচি শুরু হবে। প্রত্যেককে দুই রকমের ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। ভরা পেটে ওই ওষুধ খেতে হবে। জেলা জুড়েই এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। ১০ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই ওষুধ খাওয়ানো হবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ওষুধ খাওয়ানোর কর্মসূচি চলবে।