এই মুহূর্তে




সল্টলেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে গ্রেফতার ২

নিজস্ব প্রতিনিধি: সল্টলেকের দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যা খুনে গ্রেফতার করা হল ২ জনকে। ধৃতদের নাম রাজু ঢালি, তুফান থাপা। ঘটনার ১২ দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। খুনে অভিযুক্ত বিডিও কোথায় তা এখনও জানান যায়নি।

স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে ধৃত অভিযুক্ত বিডিওর ড্রাইভার ও বন্ধু। নীল বাতি লাগানো গাড়িতেই হয়েছিল দেহ লোপাট। রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের গাড়িচালক রাজু ঢালী। অন্য ধৃত তুফান ফাঁপা বিডিওর বন্ধু এবং ঠিকাদার। নীল বাতি লাগানো গাড়ির ফুটেজ সিসি ক্যামেরায় পুলিশের হাতে এসেছে। তারপরে আরও বেড়েছে খুনের সঙ্গে বিডিও যোগ। দেহ লোপাটের যাত্রাপথের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার হয়েছে। আগেই অপহরণের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গিয়েছিল। অপহৃতকে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়ারও ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। ফ্ল্যাট থেকে ব্যবসায়ীকে বের করার ভিডিও মিলেছে।

প্রশান্ত বর্মনের বাড়িতে কর্মরত অশোক করের বিরুদ্ধে উঠেছে সোনা চুরির অভিযোগ। অশোকসহ তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। খুনের তদন্তে পুলিশের হাতে এসেছে একাধিক ফুটেজ। অপহরণ-খুনের মাঝে কী হয়েছিল জানতে রাজু ঢালি ও তুফান থাপাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। এখনও অধরা অভিযুক্ত ভিডিও। ১২ দিন হয়ে গেলেন এখনও কেন পুলিশের জালে আসছে না অভিযুক্ত বিডিও প্রশান্ত বর্মন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

সল্টলেক থেকে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে নিউ টাউনের যাত্রাগাছি এলাকা থেকে। গত ৩১ অক্টোবর ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর শ্যালক দেবাশীষ কামিলা। তাঁর লিখিত অভিযোগে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে উত্তরবঙ্গের রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের নাম। জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগে রাজগঞ্জের বিডিওর শিলিগুড়ির মাটিগাড়া এলাকার বাড়ি থেকে বেশ কিছু সোনার গয়না চুরি হয়েছিল। পুলিশ সেই ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে সল্টলেকের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে ওই চুরির গয়না বিক্রি করা হয়েছে।

স্থানীয় পুলিশের কাছ থেকেই আবার এই খবর পান বিডিও। এরপর ২৩ অক্টোবর নীল বাতি লাগানো গাড়িতে চেপে এক ব্যক্তি আসেন সল্টলেকের দত্তাবাদে। সেদিন জমি সংক্রান্ত একটি কাজে ওড়িশা গিয়েছিলেন তিনি। ফলে দোকানটি যার বাড়িতে ভাড়া দেওয়া সেই মালিক গোবিন্দ বাগকে দিয়ে ফোন করানো হয় ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে। বলা হয় স্বপনকে দ্রুত ফিরে আসতে বলতে। এরপর ২৮ অক্টোবর সকালে দুজন সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে দত্তাবাদে ফেরেন ব্যবসায়ী।

দেবাশীষ কামিলার অভিযোগ, এরপর যখন স্বপন দুই সঙ্গীকে নিয়ে ফিরে দোকানে পৌঁছান তার দশ মিনিটের মধ্যে দুটি গাড়ি করে বেশ কিছু লোক আসে। এর মধ্যে নীল বাতি লাগানো একটি গাড়ি থেকে এক ভদ্রলোক নিচে নেমে নিজেকে বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলে পরিচয় দেন বলে দাবি। এরপর স্বপন কামিলার আর কোনও বক্তব্য না শুনেই তাকে এবং দোকান ভাড়া দেওয়া মালিক গোবিন্দকে তুলে নিয়ে চলে যায়।

পরে সল্টলেকের নয়াবাদ এলাকায় গোবিন্দকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর নিউ টাউনের নির্জন খালপাড় থেকে উদ্ধার করা হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। গত ৩১ অক্টোবর এই গোটা ঘটনা জানিয়ে বিধান নগর সাউথ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দেবাশীষ। সমস্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

প্রতিবেশীদের দাবি বহুদিন ধরে স্বপন কামিলা এখানে থাকতেন। তিনি অত্যন্ত ভাল মানুষ ছিলেন। কখনও কারও সঙ্গেই ঝগড়া বিবাদ করতেন না। সেই মানুষকে কেন এমন নৃশংসভাবে খুন হতে হল তা কেু বুঝতে পারছেন না। যদিও অভিযুক্ত বিডিও নিজে তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।  বিধান নগর কমিশনারেট জানিয়েছে এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চলছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক পেলেন ২০,৫০০ চাকরিপ্রার্থী

মাটি বোঝাই ডাম্পারে NKDA স্টিকার লাগিয়ে শীত পড়তেই রমরমিয়ে চলছে পুকুর ভরাট

হাওড়া কর্পোরেশনে দুর্নীতি অভিযোগ, ছয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

গাছের গুঁড়িতে বা বারান্দার ধুলোয় বসে মিড ডে মিল খাচ্ছে ছাত্ররা

মদ ও জোয়ার ঠেক বন্ধ করার দাবিতে বালুরঘাটে প্রশাসনের দ্বারস্থ গ্রামের প্রমিলা বাহিনী

শীতের কলকাতাকে ঘুরে দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে পরিবহণ দফতর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ