নিজস্ব প্রতিনিধি: ট্রম্বিকিউলিড মাইটস(Trombiculid Mites) নামে এক ধরনের মাকড়সার(Spyder) কামড়ে শরীরে ঢোকে স্ক্রাব টাইফাস(Scrub Typhus) ব্যাকটেরিয়া। তারপর থেকেই রোগীরে শরীরে জ্বর, গায়ে-হাতে পায়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা, চোখের পিছনে ব্যথা, বমি, গায়ে র্যাশ – এই লক্ষণগুলির প্রকাশ পেতে থাকে। মাকড়ের কামড়ের বিষ এতটাই যে, ঠিক সময়ে ধরা না পড়লে ঘটতে পারে মৃত্যুর মতো ঘটনাও। সেটাই ঘটেছে বীরভূমের বুকে। সেখানে ইতিমধ্যেই ২জন মারা গিয়েছে ও ৬০জন রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। মৃত এবং আক্রান্তদের সকলেরই বাড়ি বীরভূমের(Birbhum) ময়ূরেশ্বরের(Mayureshwar)-১ ব্লকের গাজিপুরের একটি পাড়ায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই পাড়ায় জনজাতির বাসিন্দারা বসবাস করেন। বেশ কিছুদিন ধরেই সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে জ্বর, গায়ে-হাতে পায়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা, চোখের পিছনে ব্যথা, বমিভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। শুরুর দিকে সকলে ভেবেছিলেন ডায়রিয়ার প্রকোপ। পরে হাসপাতালে নমুণা পরীক্ষা হতেই জানা যায়, স্ক্রাব টাইফাসের ভাইরাসের কথা।
যদিও সরকারি ভাবে এখনও স্বীকার করা হয়নি যে ২জন মারা গিয়েছেন। তবে এটা স্বীকার করা হয়েছে যে, জ্বর, গায়ে-হাতে পায়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা, চোখের পিছনে ব্যথা, বমি, গায়ে র্যাশের মতো উপসর্গ নিয়ে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬০জন রয়েছেন। আক্রান্তদের শরীরে স্ক্রাব টাইফাসের নমুনা মিলেছে। যে ২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তাঁরা স্ক্রাব টাইফাসের কারণেই মারা গিয়েছেন কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শোভন দে জানিয়েছেন, মৃতদের দেহের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হলেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলা যাবে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩ জনের শরীরে স্ক্রাব টাইফাসের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। বাকিদের পরীক্ষা চলছে। রক্তের নমুনাও নেওয়া হয়েছে। নতুন করে যাতে আর কেউ আক্রান্ত না হন, সেকারণে গ্রামে পাঠানো হয়েছে মেডিকেল টিম।