নিজস্ব প্রতিনিধি: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম ১০’র মেধা তালিকায় ২৭২ জন পড়ুয়া জায়গা করে নিয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে সেই তালিকায় রাজ্যের তিনটি স্কুল থেকে স্থান পেয়েছে ৪০ জন ছাত্রছাত্রী। আর এই বিষয়টি নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে। তিনটি স্কুল থেকে ৪০ জন পড়ুয়া মেধা তালিকায় জায়গা পাওয়ায় পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা।
শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে ফল প্রকাশ করা হয়। মেধা তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা জায়গায় প্রথম ১০’র মেধা তালিকায় যে ২৭২ জন পড়ুয়া জায়গা করে নিয়েছে। তাদের মধ্যে রাজ্যের তিনটি স্কুল থেকে স্থান পেয়েছে ৪০ জন ছাত্রছাত্রী। সবচেয়ে বেশি পড়ুয়া মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জলচক নটেশ্বরী বিদ্যায়তন থেকেই। জলচক নটেশ্বরী বিদ্যায়তনের ছাত্র সায়নদীপ সামন্ত ৪৯৭ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। এই স্কুল থেকেই ২২ জন পড়ুয়া জায়গা করে নিয়েছে প্রথম ১০’র তালিকায়।
অন্যদিকে দিনহাটার সোনি দেবী জৈন হাই স্কুল থেকে ১০ জন মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। এই স্কুল থেকেই প্রথম হয়েছে অদিশা দেবশর্মা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮। এই স্কুল থেকে চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে আরও ৯ জন পড়ুয়া। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপের সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের ৮ জন পড়ুয়া প্রথ ১০’র মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। যদিও স্কুলগুলির এমন ফল নিয়ে খুশি শিক্ষকরা। হোম সেন্টারে পরীক্ষা হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানানো হয় এই তিন তিন স্কুলের তরফে। পড়ুয়ারা নিজস্ব মেধার জোরেই জায়গা করে নিয়েছে বলে জানান শিক্ষকরা।