এই মুহূর্তে




রাজ্যের ৬ শহরে তারের জট যন্ত্রণা থেকে মিলবে মুক্তি, কবে শেষ হবে কাজ?

নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শহর থেকে জেলা বহু জায়গায় বিপজ্জনকভাবে তার ঝুলতে দেখা যায়। এরফলে বিভিন্ন সময়ে বিপদ ঘটে। তাই এবার ওভারহেড পাওয়ার লাইন সিস্টেমে বড় ধরনের বদল আনার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী বছরেই মাথার ওপর দিয়ে ঝুলে থাকা তারের দিন শেষ হতে চলেছে। মাটির নিচ দিয়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

রাজ্যের ৬টি শহরে ওভারহেড পাওয়ার লাইন সিস্টেমকে মাটির নিচে করার কাজ চলছে। এরমধ্যে রয়েছে শিলিগুড়ি, চন্দননগর, খড়্গপুর, আসানসোল, বারুইপুর ও রাজারহাট। মাথার ওপরে তারের জঙ্গল সরিয়ে নতুন পদ্ধতির কাজ করতে খরচের হিসেবও জানা গিয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গিয়েছে, ওভারহেড তারের সিস্টেমকে মাটির নিচে নিয়ে যাওয়ার কাজ করার জন্য ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এই  টাকার ৭০ শতাংশই দিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক।

রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, রাজারহাটে এই তার মাটির নিচে নিয়ে যাওয়ার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এয়ারপোর্ট থেকে কেষ্টপুর পর্যন্ত বিস্তির্ণ এলাকা তারমধ্যে রয়েছে। খড়্গপুর ও চন্দননগরে প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বারুইপুরেও হয়েছে ৮০ শতাংশ কাজ। তবে শিলিগুড়ি আসানসোলে অর্ধেক কাজ হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। আগামী বছরের শুরুর দিকেই এই কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানানো হচ্ছে। নতুন আর্থিক বছর শুরুর আগেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। নির্ধারিত ৬ শহরেই দারুণভাবে কাজ চলছে।

জানানো হচ্ছে, মাটির নিচে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক চলে যাওয়ার পরে শহরজুড়ে বিদ্যুৎপরিষেবা আরও ভাল হবে। অনেক সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পরিষেবা ব্যহত হত। সেই সমস্যা থেকে মিলবে মুক্তি। বড় কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটলেও আর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে থাকতে হবে না। অনেক সময় জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানীর মত ঘটনা ঘটে। পাওয়ার নেটওয়ার্ক মাটির নিচে চলে গেলে একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভোটারদের মতামত জানতে নিজের বিধানসভায় জনবাক্স বসালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

সুকান্ত মজুমদারকে ‘কান কাটা খলিল’বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল রহিম বক্সি

বাংলার মনীষীদের কলুষিত করতে চাইছে বিজেপি, কটাক্ষ শশী পাঁজার

SIR আবহে তপ্ত ঠাকুর বাড়ি, একদিকে আমরণ অনশন অপরদিকে CAA তে আবেদনের পাল্টা প্রচার ক্যাম্প

২২ জন দরিদ্র যুবক-যুবতীকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করল গণবিবাহের ছাদনাতলা

সামনেই বার্ষিক পরীক্ষা, স্কুলের সব শিক্ষকই ব্যস্ত SIR-র কাজে, চিন্তায় অভিভাবকরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ