নিজস্ব প্রতিনিধি: মাত্র ২ মাস আগেই পুরনির্বাচনে জেতা কাউন্সিলরের(Councilor) বিরুদ্ধে উঠল একটি পরিবারের সব সদস্যকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে হুগলি(Hooghly) জেলার ডানকুনি(Dankuni) পুরসভা এলাকায়। আর এই ঘটনার জেরে এলাকায় রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সব থেকে বড় কথা আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ করলেও ওই পরিবারের প্রতি কাউন্সিলর যে আচরণ করছেন এখনও তা নিয়েও বড় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনাকে মোটেও হালকা ভাবে নিচ্ছে না। প্রয়োজনে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে সেই ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক দিলীপ যাদব(Dilip Yadav)।
ডানকুনি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কালাচাঁদ সেনগুপ্তের পরিবারের সঙ্গে একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ রয়েছে প্রতিবেশী বেশ কিছু পরিবারের। তা নিয়ে বিস্তর মামলা মোকদ্দমাও হয়েছে। সম্প্রতি সেই জমি কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। সেই অনুমতির জেরেই কালাচাঁদবাবু কাঁটাতার দিয়ে সেই জমি ঘিরেও ফেলেন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে সেই ঘটনার জেরে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্লোল বন্দ্যোপাধ্যায়(Kollol Banerjee) কালাচাঁদবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসেন। অভিযোগ, কাউন্সিলর কালাচাঁদবাবুর পরিবারকে খুনের হুমকিও দিয়েছেন। এই বিষয়ে কালাচাঁদবাবু সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেন কাউন্সিলর তাঁকে জানিয়ে গিয়েছেন, ‘আমাকে কোর্ট দেখাছেন? আমিই কোর্ট। আইন আমি। এই এলাকার সব আমি। আপনি কাগজপত্র নিয়ে, দলিল নিয়ে আমার অফিসে এসে জমা দিন।’
কালাচাঁদবাবু ওই ঘটনার জেরে ডানকুনি থানায় গিয়েছিলেন অভিযোগ জানাতে। কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগ নিতে চায়নি। তার জেরে কালাচাঁদবাবু ইমেল করে তাঁর অভিযোগ চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটকে জানান। ঘটনার জেরে কল্লোলবাবু জানিয়েছেন, ‘এমি কাউকে কোনও হুমকি ধমকি দিইনি। কাউকে প্রাণনাশের হুমকিও দিইনি। আমি বিবাদ মেটাতে গিয়েছিলাম। উল্টে কালাচাঁদবাবু আমার নামে মামলা করার হুমকি দেন। আমার একটাই বক্তব্য, আমাই আমার এলাকায় খুন জখম অশান্তি চাই না। একটা জমি নিয়ে এই ধরনের বিবাদ হোক তা আমি চাই না। তাই ওনাকে বলেছি আমার অফিসে গিয়ে দেখা করতে।’ যদিও প্রশ্ন উঠছে আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন কাউন্সিলর তাঁর মতো করে সমস্যার সমাধান করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। ঘটনার জেরে দিলীপ যাদব জানিয়েছেন, ‘কালাচাঁদবাবুর ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। আমি আজকেই ওই কাউন্সিলরকে ডেকে পাঠাবো। সেই কাউন্সিলরের যে দোষ ত্রুটি থাকবে সেটা সংশোধনের কথা বলব।’