নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর ২৪ পরগনা: নৃশংস ঘটনা, পারিবারিক অশান্তির জেরে দাম্পত্য কলহ। আর তার জেরেই মাথায় পরপর মুগুরের আঘাত করে স্বামীকেই খুন করল স্ত্রী। এরপরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় ওই মহিলা। পরে পুলিশ রীতিমতো ফাঁদ পেতে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানা এলাকায়। শনিবার রাতে টানটান উত্তেজনার নাটকের পর পুলিশ গ্রেফতার করে মুসকান বিবি নামে ওই মহিলাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, পেশায় পাখি ব্যবসায়ী শেখ আলমের সঙ্গে কয়েক বছর আগেই বিয়ে হয় মুসকান বিবির। তাঁদের এক ছেলে ও মেয়েও আছে। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ প্রায়ই লেগে থাকতো। শনিবার বিকেলে ছেলে-মেয়ে পড়তে যায়। সেসময় তুমুল ঝগড়া বাঁধে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। কাটাকাটি গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, সেসময়ই বাড়ির উঠোন পড়ে থাকা মুগুর নিয়ে এসে স্বামী শেখ আলমের মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করেন মুসকান। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন শেখ আলম। এরপরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় মুসকান। তাঁকে দেগঙ্গা স্টেশনেও দেখা যায় বলে পরে জানতে পারে পুলিশ।
অপরদিকে দেগঙ্গা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় শেখ আলমকে বিশ্বনাথপুর গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রতিবেশী ও শেখ আলমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে এই খুনের পিছনে রয়েছে স্ত্রী মুসকান। এরপরই ফাঁদ পাতে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। শেখ আলমের এক আত্মীয়কে দিয়ে পুলিশ ফোন করায় মুসকানকে। এবং জানায় শেখ আলম মারা যায়নি, হাসপাতালে এখনও বেঁচে আছেন। এই খবর পেয়েই বাড়ি ফিরে আসে মুসকান। আর ওত পেতে থাকা পুলিশ তাঁকে তখনই গ্রেফতার করে। তবে নিতান্ত দাম্পত্য কলহ নাকি এই খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে? সেটা জানতে মুসকান-সহ পরিবারের সকলকে জেরা করছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।