নিজস্ব প্রতিনিধি: জমি বিতর্ক নিয়ে অমর্ত্য সেনের(Amartya Sen) পাশে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সাসপেন্ড হলেন বিশ্বভারতীর(Viswabharati University) এক পড়ুয়া। বিশ্বভারতীর ছাত্র, তথা বামপন্থী ছাত্র সংগঠন SFI’র সক্রিয় সদস্য সোমনাথ সৌকে(Somnath Sou) বুধবার সাসপেন্ড করেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পক্ষ থেকে এই নোটিস জারি করা হয়। তবে এর আগেও একাধিকবার সাসপেন্ড করা হয় ওই পড়ুয়াকে। এমনকি তৈরি করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটিও। এবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট সম্পর্কিত আচরণ লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়েই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্নাতকোত্তর স্তরের পল্লীশিক্ষা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টার স্থগিত করা হচ্ছে তাঁর জন্য। যার অর্থ প্রায় এক বছর নষ্ট হওয়া। আর এই ঘটনা ঘিরেই নতুন করে তপ্ত হয়ে উঠছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশ সত্ত্বেও ৮টি কোর্স চালুর অনুমোদন পেল না কলেজ
বিশ্বভারতীর দাবি, ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক বিতর্কিত পোস্ট করায় আচরণ লঙ্ঘন করেছেন সোমনাথ। তাই সর্বসম্মত সুপারিশ অনুযায়ী তাঁর তৃতীয় সেমিস্টার স্থগিত করা হয়েছে। জমি বিতর্কে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালেয়ের বিবাদ এখনও মেটেনি। সেই আবহেই অমর্ত্যের পক্ষ নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোপে পড়েছেন সোমনাথ। তাতে অবশ্য জমি বিতর্ক থেমে যাচ্ছে না, বরঞ্চ তা আরও জটিল হয়ে উঠছে। সাসপেন্ড হওয়ার পরে সোমনাথের দাবি, ‘উপাচার্যের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণেই এই শাস্তি পেতে হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। প্রয়োজনে আইনি সাহায্য নিতেও পিছপা হব না।’ অন্যদিকে SFI’র সদস্যদের দাবি, উপাচার্য গত পাঁচ বছর ধরে স্বৈরাতন্ত্র চালাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কথা বললেই হয় জুটছে সাসপেনশন, নয়তো শো-কজের নোটিস। বাদ যাননি অধ্যাপকেরাও। বিরুদ্ধস্বর হলেই হয় বদলি, নয় বাতিলের খাতায়। প্রয়োজনে আইনের পথ অনুসরণ করা হবে।