নিজস্ব প্রতিনিধি: কেউ বলছেন ট্রাক্টর চাপা পড়ে মারা গিয়েছে, আবার কেউ বলছেন ট্রাক্টরের চাকায় পিষে তাঁকে খুন করা হয়েছে। সত্যি কোনটা তা জানতে পুলিশ ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে। কিন্তু জল্পনা থামছে না। কেননা যিনি মারা গিয়েছেন, সেই যুবকের পরিবারের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে। যদিও পুলিশের প্রাথমিক দাবি দুর্ঘটনার জেরেই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আর পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ মৃত যুবকের পরিবার থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdhwan) জেলার কালনা(Kalna) শহরের পুরাতন হাট(Puraton Hat) এলাকা। সেখানেই মঙ্গলবার ভোরে গোলাম মোর্তাজা শেখ(২১) নামে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে কালনা থানার পুলিশ। তাঁরাই সেই দেহ পাঠান ময়নাতদন্তের জন্য।
কালনা শহর লাগোয়া পুরাতন হাট গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, গঙ্গার পাড়ে বৈধ বালির খাদানে(Sand Mine) বালি তোলা হচ্ছিল সোমবার রাতে। সেই সময় ট্রাক্টরে কে আগে বালি বোঝাই করবে তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বেধে যায়। তা থেকে মারামারি শুরু হয়। সেই সময় সিন্টু শেখ নামে এক যুবক ট্রাক্টরচালক মোর্তাজাকে মারধর করে। তার জেরে ঘটনাস্থলে মৃত্যুও(Death) হয় মোর্তাজার। তারপর মোর্তাজার দেহের ওপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে তা দুর্ঘটনার রূপ দেওয়া হয়। ভোরে মোর্তাজার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ এর আগেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বালি তোলাকে কেন্দ্র করে। প্রতিবারই পুলিশ এই সব মৃত্যুর ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে দেয় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে। এবারেও পুলিশ সেই চেষ্টাই করছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।
মোর্তাজার দাদা মেহবুব আলম শেখ এদিন জানিয়েছেন, ‘আমার ভাইকে পিটিয়ে খুন করে তার ওপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘাট মালিকরা প্রাথমিক ভাবে অশান্তি মিটিয়ে দিলেও পরে ওকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। খুনের পর দেহের ওপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে বিষয়টি দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমার ভাইয়ের সঙ্গে বালি তোলা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। কাল রাতেও ওদের মধ্যে ঝামেলা হয়। দু তরফের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিল। তারপর মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছিল। সেই রেশ থেকে যায়। এরপর আমার ভাইকে মেরে ট্রাক্টর চাপা দিয়ে দেওয়া হয়। আমরা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা চাইছি এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হোক।’ যদিও খুনের অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ। পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেনের দাবি, ট্রাক্টর দুর্ঘটনার জেরেই মোর্তাজার মৃত্যু হয়েছে।