নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাটে যে বিমানবন্দর রয়েছে তাতে যাতে যাত্রীবাহী বিমান ওঠানামা করতে পারে তার জন্য সেখানকার রানওয়ে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা এএআই। সেই কারনেই এএআইয়ের তরফে রাজ্য সরকারকে বলা হয়েছিল রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি জোগাড় করে দিতে। রাজ্য সরকার সেই প্রস্তাব মতো জমি চিহ্নিতও করে দিয়েছে। সেই জমিতেই এবার বালুরঘাট বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে। শুক্রবার সেই জমি পরিদর্শনে গেলেন এএআই-য়ের আধিকারিকেরা, রাজ্যের পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
বালুরঘাটে যে রানওয়ে রয়েছে তার দৈর্ঘ্য মাত্র ১কিমি। কিন্তু ৪২ আসনের ছোট যাত্রীবাহী বিমানও সেখানে নামাতে গেলে অন্তত ১৮০০মিটারের রানওয়ে থাকা চাই। সেই কারনেই সেখানে রানওয়ে সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন সেই রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য পরিদর্শনের কাজ সেরে বৈঠকে বসেন এএআই-য়ের আধিকারিকেরা, রাজ্যের পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। বালুরঘাট বিমানবন্দরের অনেক কাজই ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। টার্মিনালসহ পরিকাঠামোর কাজ শেষ করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাও বিমান চলাচল সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি বালুরঘাট বিমানবন্দর থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত এই বিমানবন্দর চালু হবে বলে গত উত্তরবঙ্গ সফরে বলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও তা সচল হয়নি। এখন দেখার বিষয় যে জমি রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে তা কত তাড়াতাড়ি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ হাতে পান।
যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য যে জমি চিহ্নিত করা হয়েছে তার কিছুটা রাজ্য সরকারের হাতে থাকলেও একটা বড় অংশই রয়েছে বেসরকারি ভাবে আমজনতার হাতে। সেই জমি নিয়েই সমস্যা হতে পারে। সঠিক দাম ও ক্ষতিপূরণ না পেলে জমির মালিকেরা জমি দিতে রাজি নাও হতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। ঠিক একই সমস্যায় আটকে রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার বার্ণপুর বিমানবন্দরের কাজও। এখন বালুরঘাটের ভাগ্যে কী আছে সেটা সময়ই বলবে।