নিজস্ব প্রতিনিধি: আসানসোল উপনির্বাচনের আগে পুরোদমে রোড শো করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের স্টার প্রার্থী অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর সমর্থনেই রোড শো করেন তৃণমূলের যুবরাজ। তাঁর পাশেই উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কল্যাণ মুখোপাধ্যায়। আর এতেই বিরোধী শিবিরকে জবাব দিচ্ছে তৃণমূল। এদিনের রোড শোয়ে (Road Show) এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শত্রুঘ্ন জায়া পুনম, মন্ত্রী মলয় ঘটক।
এদিন দুপুর ২ টো তে দ্য গ্র্যান্ড হোটেল থেকে গির্জা মোড় পর্যন্ত হয় শোভাযাত্রা। ভিড় ছিল উপচে পড়া। সেখানে কেন্দ্র ও বিজেপিকে বিভিন্ন ইস্যুতে আক্রমণ করেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। বলেন, ‘স্টার ও আসানশোলের কাছের মানুষ’ শত্রুঘ্নকে জেতাতেই হবে আসানসোলের (Asansol) উন্নয়নের জন্য।
জাঁকজমকপূর্ণ রোড শোয়ের মধ্যেও দলীয় সমর্থকদের মন কেড়েছিল অন্য এক দৃশ্য। যুবরাজের পাশেই শ্রীরামপুরের সাংসদ। ডায়মণ্ডহারবার ও শ্রীরামপুরের সাংসদের (MP) সম্পর্ক নিয়ে ছিল বিতর্ক। বিরোধীরা বারবার কটাক্ষ করেছিল সবুজ শিবিরকে। বলা হয়েছিল অন্তর্দ্বন্দ্ব। তবে শনিবারের দৃশ্যে তাতে কার্যত জল পড়ল। দুই নেতাকেই দেখা গিয়েছে পাশাপাশি ও হাসিমুখে। লক্ষ্য একটাই তৃণমূল প্রার্থীকে জেতানো। তবে দুজনে পাশাপাশি রয়েছেন হাসিমুখে। কেউ পড়েননি অস্বস্তিতে। আর এতেই উৎফুল্ল শাশক দলের শিবির। তাদের বক্তব্য, দলীয় স্বার্থে মতবিরোধ তাৎক্ষনিক। তার প্রভাব দল বা ব্যক্তিগত সম্পর্কে পড়ে না।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকমাস আগে কল্যাণ বলেছিলেন, ডায়মণ্ডহারবার মডেল নিয়ে তিনি আপ্লুত নন এমনকিছু। তাঁর নেত্রী একমাত্র মমতা। তা ঘিরেই অনেকে দাবি করেছিলেন, অভিষেক ও কল্যাণকে কেন্দ্র করে দুটি বলয় তৈরি হয়েছে। তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। অভিষেক অবশ্য বলেছিলেন, ‘উনি তো ঠিকই বলেছেন। আমারও নেত্রী একমাত্র মমতা। আমরা তো একই কথা বলছি। আমাদের নেত্রী এক’। তবুও গুঞ্জন উঠেছিল রাজনৈতিক মহলে। আর এদিন সমস্ত গুঞ্জন যেন ম্লান হয়ে যায় দুই সাংসদের হাসিতে।
এদিন অভিষেক প্রচারে এসে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে বলেন, প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে পেট্রোল- ডিজেলের দাম। তাই বেড়ে চলেছে মূল্য বৃদ্ধি। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। তারপরেই বলেন, জনতার ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। ইডি- সিবিআই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ভিত্তিহীন ভাবে অপদস্থ করা হচ্ছে বিজেপি বিরোধীদলের নেতৃত্বকে। বলেন, জনতা তাঁকে জিতিয়েছেন মাথা নিচু করতে হলে তিনি জনতার কাছে করবেন, কেন্দ্রের বা বিজেপির কাছে নয়।