নিজস্ব প্রতিনিধি: দুয়ারের সরকারের(Duare Sarkar) মাধ্যমে আবেদন করেও মেলেনি বার্ধক্য ভাতা(Old Age Pension)। তাই আবেদনকারীরা তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই সব অভিযোগের জেরেই তিনি কথা দিয়েছিলেন, ১৫ দিনের মধ্যে ৭০ হাজার মানুষের বার্ধক্যভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা তিনি করবেন। সেই কথা রাখলেন তিনি। বুধবার থেকে তাঁর সংসদীয় কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ৭টি বিধানসভার প্রতিটা অঞ্চল ও ওয়ার্ডে বুধবার থেকেই খোলা হয়েছে ‘সাংসদ সহায়তা কেন্দ্র’। সেখানে বার্ধক্যভাতার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিরা আসছেন এবং সাংসদের দেওয়া নির্দিষ্ট ফর্ম ফিলাপ করে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিচ্ছেন। একইসঙ্গে লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পুরসভাগুলিতেও এই ফর্ম ফিলাপ করা চলছে। তাঁর এই উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই খুশি বয়স্করা। তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ(MP Daimond Harbour Constituency) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)।
গত ১০ নভেম্বর নিজের সংসদীয় কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ফলতা এলাকায় সভা করেছিলেন অভিষেক। সেদিন তাঁর কাছে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়ে বার্ধক্য ভাতা নিয়ে। তৃণমূল সাংসদকে জানানো হয়, দুয়ারের সরকারের মাধ্যমে আবেদন করেও মেলেনি ভাতা। তার জেরেই সেদিন অভিযশেক জানিয়েছিলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ৭০ হাজার মানুষের বার্ধক্যভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা তিনি করবেন। সেই কথার জেরেই নিজের লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় ৭০ হাজার বাসিন্দার বার্ধক্য ভাতার বন্দোবস্ত করতে তাঁর সংসদীয় কেন্দ্রের প্রতিটা অঞ্চল ও ওয়ার্ডে গতকাল থেকেই খুলেছেন ‘সাংসদ শায়তা কেন্দ্র’। সাংসদের এই উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবে খুশি ডায়মন্ডহারবারের লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দারা।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় ৬ থেকে ১০ ডিসেম্বর অবধি সাংসদ সহায়তা কেন্দ্র খোলা থাকবে। দ্বিতীয় দফায় সাংসদ সহায়তা কেন্দ্র খোলা থাকবে ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর অবধি। এই প্রসঙ্গে ডায়মন্ডহারবার টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন তরফদার জানিয়েছেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিলে কথা রাখতে জানেন। তাঁর দেওয়া কথা অনুযায়ী ডায়মন্ডহারবার পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডে বিশেষ কেন্দ্র খুলে ফর্ম ফিলাপের কাজ চলছে। পাশাপাশি ফলতা, মহেশতলা, বজবজের মতো সাতটি বিধানসভার পঞ্চায়েত এলাকালগুলিতে ফর্ম ফিলাপের কাজ চলছে।’