-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 8:28 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজস্ব আয় বলতে কিছুই নেই। নিজস্ব ভাঁড়ারও খালি। অথচ খরচ প্রতি মাসে প্রায় ১ কোটি টাকা। বিভিন্ন ওয়ার্ডে যে সব উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তার বিল সঠিক সময়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে না পাঠানোয়, সেখান থেকেও টাকা আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন করে আর কোনও উন্নয়নমূলক কাজে হাতই দেওয়া যাচ্ছে না। থমকে গিয়েছ শহরের উন্নয়ন। শুধু তাই নয়, খরচ তুলতে হাত পাততে হয়েছে বাজারে। আর তার জেরেই ১৬ কোটি টাকার দেনা চেপে বসেছে মাথার ওপরে। নাহ এখানে কোনও মানুষের কথা বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার অন্যতম মহকুমা সদর Daimond Harbour পুরসভার(Municipality) কথা। ঘটনাচক্রে এই এলাকারই সাংসদ(MP) বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। এখন প্রশ্ন উঠেছে Daimond Harbour পুরসভার এই ১৬ কোটি টাকার দেনায় ডুবে থাকার বিষয়টি নিয়ে তিনি ওয়াকিবহাল কিনা!
আরও পড়ুন‘ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম’, শহিদ স্মরণ মমতার
জানা গিয়েছে, রীতিমত আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে Daimond Harbour পুরসভা। পরিস্থিতি এমন যে, টাকার অভাবে ঠিকাদারদের পেমেন্ট করা যাচ্ছে না। এই আর্থিক সঙ্কট থেকে সুরাহা পেতে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের দ্বারস্থ হয়েছে Daimond Harbour পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তাঁরা পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে চিঠিও পাঠিয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও আশার আলো দেখাতে পারেনি মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দফতর। এভাবে চললে আগামীদিনে পুরসভার কর্মীদের বেতন দিতে সমস্যা হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা Daimond Harbour পুরসভায় প্রায় ৫০০ জন অস্থায়ী কর্মী কাজ করেন। তাঁদের বেতন খাতে খরচ হয় প্রায় ৪৭ লক্ষ টাকা। কোনওভাবে সেই টাকা এখন জোগাড় করা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও তাঁদের বেতন দিতে দিতে মাসের ১০ তারিখ পার হয়ে যাচ্ছে। এমনকি পুরসভার খরচ মেটাতে গিয়ে এখন House For All প্রকল্পের টাকাতেও হাত দিতে হচ্ছে যা রীতিমত নিয়ম বহির্ভূত।
আরও পড়ুন ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে লগ্নি করা EPFO’র ১,৭৬৩ কোটি টাকা
পুরসভার কী বক্তব্য? পুরসভার চেয়ারম্যান প্রণব দাস জানিয়েছেন, ‘সরকারকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। তাঁরা বিবেচনা করে আমাদের আবেদনে নিশ্চয়ই সাড়া দেবে। পুরসভার আর্থিক হাল বেশ খারাপ। বিভিন্ন ওয়ার্ডে যে সব উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তার বিল সঠিক সময়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে পাঠানো যায়নি। তার জন্য টাকা ছাড়া হয়নি। বকেয়া টাকা নিজেদের তহবিল থেকে মেটাতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। পুরসভার নিজস্ব ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। নিজেদের আয় সেরকম নেই। ফলে পুরসভা যে সব উন্নয়নের কাজ করে, তা করা যাচ্ছে না। ঠিকাদারদের বকেয়া টাকা দেওয়া যাচ্ছে না। তাই তাঁরাও এখন নতুন করে কোনও কাজে হাত দিতে চাইছেন না।’