নিজস্ব প্রতিনিধি: নামখানায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃতদের মঙ্গলবার কাকদ্বীপ এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। নির্যাতিতার ভাসুর অমল খাটুয়া ও তার বেয়াই কার্তিক মাইতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা-সহ একধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতা বধূ কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁর ফরেন্সিক টেস্ট হয়েছে। সেই টেস্টের রিপোর্ট আসার পরই পুলিশ জানাবে ধর্ষণ হয়েছে কিনা। নির্যাতিতার শরীরে কিছু ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন কাকদ্বীপ হাসপাতালের সুপার। মঙ্গলবার সিপিআইএম নেতা কান্তি গাঙ্গুলি সহ দলের মহিলা সমিতির কর্মীরাও কাকদ্বীপ হাসপাতালে ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করেন। মহিলার স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এদিন ওই হাসপাতালের এক কর্তব্যরত নার্সের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছে। বাম মহিলা সমিতির সদস্যরা ওই নার্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দিন মহিলাকে ধর্ষণ করার পর কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। গত শুক্রবার রাতে বাড়িতেই ছিলেন বছর চল্লিশের ওই মহিলা। ভোর ৪টে নাগাদ তিনি শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য বাইরে বের হন। অভিযোগ, সেই সময় ৫ জন এসে তাঁর মুখ চেপে ধরে। তারপর তাকে বাড়ির দোতলায় তুলে নিয়ে গিয়ে বেঁধে ফেলে অভিযুক্তরা। এরপর ওই ৫ জন তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের মধ্যে ২ জনকে চিহ্নিত করতে পারেন। এরপর গণধর্ষণের প্রমাণ লোপাটের জন্য অভিযুক্তরা বাড়িতে থাকা কেরোসিন নিয়ে মহিলার গায়ে ছিটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।