নিজস্ব প্রতিনিধি: নেতাজি ও আইএনএ নিয়ে রাজনীতি না করতেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে অনুরোধ জানালেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এই বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে চিঠি দিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার এ বছর ২৬ শে জানুয়ারির ট্যাবলোতে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং নেতাজির জীবনি ও স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান নিয়ে ট্যাবলো পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমি হতাশ এবং স্তম্ভিত। এই ধরনের পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গের জনগণের প্রতি, বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মহান নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি অপমান। রাজ্য সরকারের ট্যাবলো সংক্রান্ত এই প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করছি এবং এই ট্যাবলোকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।’
গত শনিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে মৌখিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় বাংলার নেতাজি সংক্রান্ত ট্যাবলো এবারে অংশগ্রহণ করবে না সাধারণতন্ত্রের কুচকাওয়াজে। তারপরেই চরম রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুঁড়ি শুরু হয় বাংলায়। আসন্ন সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলার তরফে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও আইএনএ সংক্রান্ত থিম নিয়ে ট্যাবলো পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। যা মৌখিক ভাবে খারিজ করে দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এর থেকে স্পষ্ট প্রমাণ হয় বাংলাকে বঞ্চনা করা ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। শুধুই বাংলা নয়, এই ট্যাবলো খারিজ করে নেতাজিকেই অপমান করেছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ নেতাজি সংক্রান্ত ট্যাবলোকে ‘বিচ্ছিন্নতা’ কেন্দ্রিক বলে দাবি করেন, ট্যাবলো না নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের পাশেই দাঁড়ান তিনি।
কিন্তু বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর ও বাংলার মানুষদের কাছে আবেগের। যা বাতিল করা ঠিক হয় নি বলেই দাবি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। চলতি বছরে কেন্দ্রের তরফে ২৬ জানুয়ারিতে থিম হিসেবে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ পালন করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই থিম বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীর উপলক্ষে এইবার নেতাজিকে সামনে রেখেই ট্যাবলো পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যা বাতিল করায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।