এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কান্তির খাস তালুকে ৪৪ বছর বাদে ক্ষমতা দখল তৃণমূলের

নিজস্ব প্রতিনিধি: রায়দিঘী(Raidighi)। এই নামটা মনে পড়লেই সবার আগে যে মানুষের মুখটা ভেসে ওঠে তিনি হলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সুন্দরবনের সিপিআই(এম)(CPIM) নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়(Kanti Ganguly)। কার্যত তাঁর দাপট ও নেতৃত্বে একসময় রায়দিঘী হয়ে উঠেছিল বামদুর্গ। কিন্তু পরিবর্তনের ঝড়ে সেই দুর্গের পতন ঘটে ২০১১ সালেই। সেই বছরের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি রায়দিঘী বিধানসভা কেন্দ্রে পরাস্ত হন তৃণমূলের প্রার্থী তথা বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়ের কাছে। কান্তির পরাজয়ের পরেও কিন্তু অক্ষুণ্ণ ছিল রাধাকান্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের(Radhakantapur GP) বাম দুর্গ। বাম বাংলার ৩৪ বছরের শাসনকালে তো বটেই, তৃণমূলের জমানাতেও এক দশক ধরে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় ছিল বামেরা। মানে সিপিআই(এম)। কিন্তু এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই গ্রাম পঞ্চায়েতে তথা রায়দিঘীর মাটিতে থাকা শেষ বাম দুর্গেরও পতন ঘটে যায়। আর মঙ্গলবার সেই গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৪ বছর বাদে গঠিত হল অবাম বোর্ড যার নেতৃত্বে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)।

আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর জোড়া ট্যুইটে শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা, নজরে ৯ অগাস্ট

দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার ডায়মন্ডহারবার মহকুমার মথুরাপুর-২ ব্লকে রয়েছে রাধাকান্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। একসময় এই মথুরাপুর-২ ব্লক ছিল কংগ্রেস ও এসএইসিআই’র শক্ত ঘাঁটি। রাধাকান্তপুর ছিল এসইউসিআই ও কংগ্রেসের দুর্গ। কিন্তু বাম জমানার সূচনার মুখেই পতন ঘটেছিল সেই দুর্গের। ক্ষমতায় এসেছিল বামেরা। তারপর টানা ৪৪ বছর তাঁরা এই গ্রামে রাজত্ব করেছে। তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় এলেও এই গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০১৩ ও ২০১৮ সালের দুটি পঞ্চায়েত নির্বাচনেই জয়ী হয়েছিল বামেরা। এসইউসিআই ও সিপিআই(এম) পালা করে শাসন করেছে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে। এবারে তাই এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বামদুর্গের পতন ঘটাতে মুখিয়ে ছিল তৃণমূল। কার্যত তাঁদের কাছে এই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল হয়ে উঠেছিল প্রেস্টিজ ফাইট।

আরও পড়ুন রাজ্য সরকারের সচিবালয়ের কর্মীদের পদোন্নতির সিদ্ধান্ত

সেই লড়াইয়ে তৃণমূলকে এগিয়ে দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা একের পর এক আর্থসামাজিক প্রকল্প। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, কৃষকবন্ধু, জয় বাংলা, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথীর মতো প্রকল্প ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষের মন পরিবর্তনে সক্ষম হয়। ভোটের ফল বার হতে দেখা যায় ৪৪ বছর বাদে পতন ঘটে গিয়েছে বাম দুর্গের। এবারের ভোটের ফল বার হতে দেখা যায়, রাধাকান্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ১০টি আসন। বিরোধী সিপিআই(এম) পেয়েছে ৫টি আসন। বিজেপি ও এসইউসিআই একটি করে আসন পেয়েছে। মঙ্গলবার ৪৪ বছর বাদে সেই গ্রাম পঞ্চায়েতে গঠিত হয়েছে অবাম বোর্ড। নেতৃত্বে অবশ্যই তৃণমূল কংগ্রেস। নতুন বোর্ডের প্রধান হয়েছেন দেবযানী হালদার ও উপপ্রধান হয়েছেন বাবুর আলি বৈদ্য।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যপাল নিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ

কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে কমিশনকে নালিশ সুকান্তের

ভোট মিটলেই বাংলায় ১৩৪টি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রাজ্যের

সন্দেশখালি কাণ্ডের কিনারায় এখন শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীরই মূল ভরসা সিবিআইয়ের?

মালদায় নির্বাচনী প্রচারে খগেন মুর্মুকে গরু – ভেড়ার সঙ্গে তুলনা করলেন ফিরহাদ হাকিম

নাম বিভ্রাটের জেরে নিরাপরাধ গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে আদালতে এনে বাড়ি পৌঁছে দিল পুলিশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর