এই মুহূর্তে

ঝালদায় জয়ের পরেই অনাস্থার তোড়জোড় কংগ্রেসের

নিজস্ব প্রতিনিধি: অঘটন মোটেও নয়। এই ফল প্রত্যাশিতই ছিল। তবে নজর কাড়ল জয়ের ব্যবধান এবং অবশ্যই শাসক দলের প্রার্থী যেভাবে দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন সেই ঘটনা। তবে এই সব কিছুকেই ছাড়িয়ে গিয়েছে পুরবোর্ডের ক্ষমতাসীন বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার তোড়জোড়ের ঘটনা। নজরে ঝালদা। রাজ্যের পশ্চিম প্রান্তের জেলা পুরুলিয়া(Purulia)। সেই জেলারই পশ্চিম প্রান্তে ঝাড়খন্ডের সীমানা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে রয়েছে ঝালদা(Jhalda) পুরসভা। মাত্র ১২টি ওয়ার্ডের ছোট এক পুরসভা। তবুও সেই পুরসভার ক্ষমতা দখলের জন্যই খুনোখুনি।

চলতি বছরের প্রথম দিকেই রাজ্যের যে শতাধিক পুরসভায় ভোট হয়েছিল তার মধ্যে ছিল ঝালদা পুরসভাও। সেখানে ফলাফল হয়েছিল ত্রিশঙ্কু। ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে কংগ্রেস(Congress) ৫টি, তৃণমূল(TMC) ৫টি ও নির্দলেরা ২টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়। শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হন চারবারের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু(Tapan Kandu)। তিনি দুই নির্দল প্রার্থী সমর্থনে পুরবোর্ড দখলের তোড়জোড় করেন। কিন্তু সেই বোর্ড গঠনের আগেই খুন হয়ে যান তপনবাবু। অভিযোগ ওঠে পুরবোর্ড দখলের লক্ষ্যেই তপনবাবুকে খুন করা হয়েছে এবং সেই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করছে। যদিও সেই তদন্তের কোথাও খুনের ঘটনায় তৃণমূল জড়িত থাকার প্রমাণ মেলেনি। এমনকি এই খুনের ঘটনার পিছনে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকেই খুনের মূল চক্রান্তকারী হিসাবে অভিযোগ করেছেন তপনবাবুর পরিবার। যদিও সিবিআই সেই রকম কোনও প্রমাণ এখনও পায়নি। বার বার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বয়ানে কোনও অসঙ্গতিও খুঁজে পায়নি। তাই তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়নি।

তপনবাবুর খুনের পরে তৃণমূল দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে ঝালদায় পুরবোর্ড গঠন করেছে। আর তপনবাবুর ফাঁকা আসনে গত রবিবার হয় উপনির্বাচন। তারই ফলাফল এদিন সামনে এসেছে। শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এই উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে তপনবাবুর ভাইপো তথা কংগ্রেস প্রার্থী মিঠুন কান্দু(Mithun Kandu)। এই মিঠুনই সবার আগে অভিযোগ তুলেছিল ঝালদা থানার আইসি’র বিরুদ্ধে। এদিন দেখা যাচ্ছে মিঠুন পেয়েছে ৯৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী তৃণমূলের জগন্নাথ রজক পেয়েছেন মাত্র ১৫২। বিজেপি প্রার্থী পরেশ চন্দ্র দাস পেয়েছেন মাত্র ৩৩টি ভোট। কার্যত ৭৭৮ ভোটে জয়ী হয়েছে মিঠুন। তপনবাবুর থেকে ৬গুণ বেশি ভোট পেয়ে জিতেছে মিঠুন।

আর তার পরেই এদিন তপনবাবুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু(Purnima Kandu), যিনি নিজেও শহরের কংগ্রেস কাউন্সিলর, তিনি জানিয়েছেন, ‘ওয়ার্ডবাসীকে ধন্যবাদ। এই জয় আমার স্বামীর জয়। তৃণমূলের নেতারা চাইতেন না আমার স্বামী চেয়ারম্যানের আসনে বসুন। তাই তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে ঝালদায় নতুন করে উপনির্বাচন করে। তৃণমূল চেয়েছিল তাঁদের প্রার্থী এবার জয়ী হোক ২ নম্বর ওয়ার্ডে। কিন্তু ঝালদাবাসী তা হতে দেয়নি। মিঠুনকে ভোট দিয়ে আমার স্বামীকেই জয়ী করেছেন তাঁরা। তপন কান্দুর অসমাপ্ত কাজ করবে মিঠুন। ২ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য যা যা করতে চাইতেন তপন, সেই সমস্ত কাজেই নজর দেবে মিঠুন। আর আমরা খুব শীঘ্রই তৃণমূলের বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনব। দলে এই বিষয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ যদিও এদিন ঝালদা পুরসভার দুই নির্দল প্রার্থীই জানিয়েছেন তাঁরা তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করতে নারাজ। কেননা সেক্ষেত্রে শহরের উন্নয়ন ব্যাহত হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঘাটাল লোকসভা জিততে গেলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হবে: দেব

কৃষ্ণনগরে আবার ইডি এলে সরপুরিয়া খেয়ে যাবে, খোঁচা মহুয়ার

শেখ শাহজাহানের জামিনের আর্জি খারিজ, জেল হেফাজতের নির্দেশ

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

চাই পুরসভা, চাই পূর্ণাঙ্গ থানা, গলা তুলছে আমোদপুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর