নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিলে তিলে উন্নত করছেন রাজ্যের পর্যটন পরিকাঠামো। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পর্যটন কেন্দ্রগুলি নতুন করে সাজিয়ে তুলে মেলে ধরছেন দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে। মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে নতুন বছরেই নতুন রূপে দিঘাকে পর্যটকদের উপহার দিতে প্রস্তুত পূর্ব মেদিনীপুর প্রশাসন। নতুন বছরেই দিঘায় গোয়া সৈকতের আস্বাদন পাবেন বাংলার পর্যটকেরা, এমনটাই অশ্বাসবানী শুনিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার পরই দিঘাকে গোয়ায় উন্নীত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
দিঘায় কী কী পেতে চলেছেন পর্যটকরা?
সৈকত সরণি বাঁধিয়ে, সৈকতে ত্রিফলা আলো লাগিয়ে, বিশ্ব বাংলা গেট করে ধীরে-ধীরে দিঘাকে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল আগেই। এবার রীতিমতো পশ্চিম ভারতের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র গোয়ার মতো করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে দিঘাকে। বিশেষ করে সমুদ্রের পাড় ঘেঁষে তৈরি হওয়া মেরিন ড্রাইভ। এছাড়াও একাধিক বিনোদন পার্ক থাকছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ধাক্কায় কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছিল সৈকতনগরী দিঘা। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তবে ইয়াস-এর দাপট কাটার পর পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় এসেছিলেন, এবং দিঘাকে আগের মতো করে সাজিয়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমতো কাজ এগোচ্ছে। ওই কর্তার কথায়, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। ফলে নতুন বছরেই নতুন রূপে দিঘাকে উপহার হিসেবে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে তৎপর প্রশাসন। ইয়াসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপত্য, ও রাস্তাঘাট সংস্কারের কাজ প্রায় শেষ। ফলে ২০২২-এর গোড়ায় নবরূপে দিঘাকে পাবেন পর্যটকরা। গত শনি ও রবিবার অঝোর ধারায় বৃষ্টিপাত ও সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস কিছুটা বাড়লেও, সোমবার থেকে মেঘমুক্ত, রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ দেখা দিয়েছে দিঘা সৈকতে। ফলে সোমবার থেকেই দিঘাকে আগের মহিমায় তুলে ধরতে কাজ শুরু হয়েছে পুরোদমে। খুশি পর্যটকরাও।