নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ ছয় মাস ধরে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। আর তাই নিয়ে বানারহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় চত্বর বৃহস্পতিবার বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল। এদিন প্রধান শিক্ষিকাকে অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মীরা।
পরিচালন সমিতির সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিবাদের জেরে স্কুলের অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, দীর্ঘ ৬ মাস ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। অবশেষে সহ্যের সীমা অতিক্রম করে যাওয়ায় অবশেষে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন বানারহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মীরা। বৃহস্পতিবার স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ জমায়েত করে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে অপসারনের দাবি জানান।এদিন স্কুলের গেটের সামনে ধর্নায় বসে পড়েন অস্থায়ী কর্মীরা। স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভের জেরে স্কুলের গেটের বাইরে আটকে পড়েন শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা। অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় স্কুলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বানারহাট থানার পুলিশ। বিক্ষোভ থেকে যাতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেজন্য স্কুল চত্বরে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।
বানারহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সূত্রে খবর, প্রায় সাত মাস আগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বদলি নেন উৎসশ্রীর মাধ্যমে। সেই সময় অঙ্কিতা সেন নামে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা টিচার-ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপর ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে ব্যাঙ্কের অপারেটর বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযোগ, সেই সময় স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি পায়েল মল্লিক এবং শিক্ষানুরাগী সদস্য বলরাম দুলুই বিদ্যালয়ে ঢুকে টিচার ইন চার্জ সহ তিন জন শিক্ষিকাকে মারধর করে। এরপর জটিলতা নিয়ে শিক্ষিকারা দ্বারস্থ হন প্রশাসনের। পরিচালন সমিতির সদস্যদের অপসারন চেয়ে লিখিত ভাবে বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষিকা স্কুলের এসআই ও ডিআইকে জানান। পাশাপাশি গোটা বিষয়টি জানানো হয় বানারহাট থানাতেও। এর পরও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি বিষয়টি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ। তার মাঝে এদিন প্রধান শিক্ষিকাকে অপসারনের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন অস্থায়ী কর্মীরা। এদিন তাঁদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতিও।