নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে অধিকারী বনাম গিরিদের বিবাদ রীতিমত সর্বজনবিদিত। অধিকারীরা তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে পা বাড়ালেও সেই বিবাদে যে বিন্দুমাত্র দাঁড়ি পড়েনি সেটা দেখিয়ে দিল এক ড্রোন। তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্য সরকার ড্রোনের মাধ্যমে কাঁথি শহরে থাকা তাঁদের বাসভবন ‘শান্তিকুঞ্জ’-এ নজরদারি চালাচ্ছে। দিব্যেন্দুর সেই অভিযোগের জেরে এবার শাসক দলের তরফে পাল্টা আক্রমণ শানলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি শনিবার রীতিমত অধিকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনেছেন।
ড্রোন প্রসঙ্গে এদিন গিরি দিব্যেন্দুকে আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, ‘রাজনৈতিক ভাবে অধিকারী পরিবার এখন মূল্যহীন। তাই প্রচারের আলোয় ভেসে থাকতে এখন মিথ্যা প্রচারের আশ্রয় নিচ্ছেন। সরকার কোনও ড্রোন উড়িয়ে কাঁথিতে নজরদারি চালাচ্ছেন না। ব্যক্তিগত ভাবে পাড়ার একজন ছেলে নতুন ড্রোন ক্যামেরা কিনেছিল। সেই ড্রোন ক্যামেরা পরীক্ষা করার জন্য উড়িয়ে দিয়েছিল ? কাকতালীয়ভাবে অধিকারী পরিবারের বাড়ি শান্তিকুঞ্জর ওপর দিয়ে তা উড়ে গিয়েছে। সেটাকে প্রচারে আলোয় আনার জন্য এরকম অভিযোগ করছে। সরকার কোনও মতেই নজরদারি চালাচ্ছেন না। এই বিষয়ে সরকারের কোনও ইচ্ছা নেই। যদি কোনও নথি সংগ্রহ করতে হয় তাহলে অন্য ভাবে তদন্ত চালিয়ে নথি সংগ্রহ করবে। ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে নজরদারি চালানো ছাড়া রাজ্যে কোথাও সরকার চালায় না। এটা সমস্ত অপপ্রচার। রাজনীতি করার জন্য এইসব মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন অধিকারী পরিবার। দু’টো সাংসদ পদ বাঁচিয়ে রাখার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী বলে দাবি করছেন। কিন্তু ভিতরে ভিতরে ওরা দলের বিরুদ্ধে কাজকর্ম করছেন। ওরা সাংসদ পদ ছাড়ছেন না। আবার দলের বিরুদ্ধেও বলছেন।’
এর পাল্টা দিব্যেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ‘অখিলবাবুর কোনও কথার উত্তর আমি দেব না। অখিলবাবু কি পুলিশের তদন্তকারী অফিসার ? উনি কি করে জানলেন এসব ? ওনার কাছে খবর থাকে ? উনি হয়তো লোক ঠিক করে রেখেছেন। কাঁথি কলেজ, আমার বাড়ির ওপর ড্রোন ওড়ানো হচ্ছে। আমি অধ্যক্ষ মহাশয়কে ফোন করছি। উনি আমাকে খোঁজ নিয়ে বলেন পুলিশ ড্রোন ওড়াচ্ছে। আমি প্রার্থনা করব মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে, আমার পরিবার, আমার বাড়িকে এ ধরনের পরিবেশ থেকে যেন শান্তি দেন।’