নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি সম্পর্কে অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। কিন্তু একফুলে থেকেও তাঁরা ছিলেন একে অপরের বিরোধী। কার্যত দুই পরিবার তৃণমূলে থেকে রাজনীতি করলেও কার্যত দুই বিরোধী শিবির হিসাবেই অবস্থান করতো। তবে সন্দেহ নেই গিরি পরিবার অপেক্ষে অধিকারীদের দাপট ছিল অনেক বেশি। তা সে রাজ্য রাজনীতিতে হোক কী জেলার রাজনীতিতে। কিন্তু অধিকারীরা ঘাসফুল ছাড়ার পর থেকেই তৃণমূলে উত্থান ঘটা শুরু হয় গিরিদের। সময় যতই এগিয়েছে সেই দাপট ততই বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে শাসকের শিবির ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি অধিকারী পরিবার। বিশেষ করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হারের পর থেকেই জেলা তো বটেই রাজ্য থেকেই নিজেদের গুরুত্ব আর দাপট হারিয়েছেন অধিকারীরা। সেই প্রেক্ষাপটেই এবার অধিকারীদের মাথা শুভেন্দু অধিকারীকেই আক্রমণ করে বসলেন গিরি পরিবারের মাথা তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। তাঁর দাবি শুভেন্দু অধিকারীর সব ডিগ্রিই নাকি ভুয়ো!
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে অধিকারী বনাম গিরিদের লড়াই রীতিমত বিখ্যাত। অধিকারীরা যতদিন তৃণমূলে ছিল ততদিন তৃণমূলে কিছুটা কোনঠাসা হয়েই থাকতে হয়েছিল অখিল গিরিকে। কিন্তু অধিকারীরা তৃণমূল থেকে দূরে সরে যেতেই অখিলের উত্থান ঘটেছে হু হু করে। রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি কার্যত তার জেরেই সময়ে সময়ে আক্রমণ শানছেন অধিকারীদের। এবার তাঁর নিশানায় শুভেন্দু। রবিবার সন্ধ্যায় সেই অখিল দলেরই এক সভা থেকে বললেন, ‘রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এত বড় বড় কথা বলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মূর্খ’ বলে বেড়ান। তা ওঁ তো বিশাল পণ্ডিত! ওঁকে বরং সকলের সামনে শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র দেখাতে বলুন। সব ডিগ্রি তো ভুয়ো। দম থাকলে কাগজ দেখান। আমি খোলা চ্যালেঞ্জ করছি। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, রাজ্যের বিরোধী দলেনতা বিহার থেকে জাল শংসাপত্র আনিয়েছেন।’ অখিলবাবুর এহেন দাবি নিয়েই এখন রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু নিজে মুখ না খুললেও তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, তিনি অখিলের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা করতে চলেছেন।