নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য(West Bengal) স্বাস্থ্য দফতরের(Health Department) Senior Ayurvedic Medical Officer নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে, এবার এমনই অভিযোগ তুলল আয়ুর্বেদিক ছাত্রছাত্রীদের অন্যতম সংগঠন National Ayurveda Students and Youth Association বা NASYA। সংগঠনের অভিযোগ, বাংলার ছাত্রছাত্রীদের বঞ্চিত করে ত্রিপুরার(Tripura) স্থায়ী বাসিন্দা অসংখ্য ছাত্রছাত্রীকে এবার চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও স্নাতকোত্তর করা ছাত্রছাত্রীদের নম্বরের হিসেব করার সময় গণ্ডগোল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন এ রাজ্যের NASYA’র আহ্বায়ক ডাঃ কেশবলাল প্রধানের। সেই অভিযোগ সম্বলিত চিঠি তিনি ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিব সহ একাধিক পদাধিকারীকে পাঠিয়েছেন অভিযোগপত্রে আকারে।
কী অভিযোগ ডাঃ কেশবলাল প্রধানের? তাঁর দাবি, নিয়োগ তালিকার ওপরের দিকে থাকা এক চাকরিপ্রার্থীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রিই নেই। অথচ তাঁকে MD’র নম্বর দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের দাবি, দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করুক রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগকারী সংস্থা West Bengal Health Recruitment Board বা WBHRB। নাহলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হবেন। এ বিষয়ে WBHRB’র চেয়ারম্যান তথা হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের বিধায়ক ডাঃ সুদীপ্ত রায় জানিয়েছেন, ‘কোনও অনিয়ম হয়নি। যোগ্য প্রার্থীরাই নিযুক্ত হয়েছেন। কারও অভিযোগ থাকলে আদালতের দ্বারস্থ হতেই পারেন।’
NASYA’র অভিযোগ অনুযায়ী, স্থায়ী বাসিন্দা না হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র বাংলায় Ayurvedic Medical College থেকে ত্রিপুরা কোটায় পড়াশোনা করায় অন্তত ১০ জনকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। স্নাতকোত্তর করা থাকলে নম্বর এবং BAMS পাশ করার পর ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে বাড়তি নম্বর দেওয়ার বিধি ছিল। এক্ষেত্রে MD-তেই ৩ বছর চলে যায়। তাই হিসেবটা হওয়া উচিত ছিল স্নাতক শেষ করার পর স্নাতকোত্তরের বছরগুলি বাদ দিয়ে কত অভিজ্ঞতা থাকছে। কিন্তু ধরা হয়েছে MD করার বয়সও।