এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘বাবার কেনা জমি আমারই প্রাপ্য’, বিশ্বভারতীকে দাবিপত্র অমর্ত্যের

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের(Viswa Bharati University) দাবি, শান্তিনিকেতনের(Shantiniketan) থাকা অমর্ত্য সেনের(Amartya Sen) পৈতৃক বাড়ি প্রতীচীর(Pratichi) চারপাশে মোট ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক। সেই জমি বিশ্বভারতীকে ফেরত দিতে হবে। অমর্ত্যের দাবি ১৯৪৩ সালে তাঁর বাবা আশুতোষ সেনকে ১.৩৮ একর জমি লিজ দিয়েছিল। সেই জমিতেই গড়ে উঠেছে প্রতীচী। বিশ্বভারতী লিজের কথা স্বীকার করলেও তাঁদের দাবি, ১.৩৮ একর জমি লিজ দেওয়া হয়নি। লিজ দেওয়া হয়েছিল ১.২৫ একর জমি। সেই সময় প্রতীচীর চারপাশে পাঁচিল ছিল না। পরে তা দেওয়া হয়। সেই সময়েই চারপাশের মোট ১৩ ডেসিমেল জমি পাঁচিলের মধ্যে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়। সেই জমিই কার্যত দখল করে রেখেছেন অমর্ত্য যা তাঁকে এখন ফিরিয়ে দিতে হবে। যদিও জেলা প্রশাসনের মতে, জমি অর্থনীতিবিদের নামে ‘মিউটেশন’ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বভারতীর সমস্ত অভিযোগ ‘অর্থহীন’। এই সবের মধ্যে এবার অমর্ত্য সেন চিঠি দিলেন বিশ্বভারতীকে। সেই চিঠিতেই তিনি সাফ জানিয়েছেন, ‘বাবার কেনা জমি আমারই প্রাপ্য’।

আরও পড়ুন বাংলাতেও দৌড়বে Vande Bharat Metro, চিহ্নিত ২টি রুট

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান, ১৯ এপ্রিল বেলা ১২টায় বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ভবনে শুনানি হবে। সেখানেই অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কের নিষ্পত্তি করা হবে। ১৮ এপ্রিল, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ই-মেল মারফত অমর্ত্যের প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকার কথা জানাতে হবে। বিজ্ঞপ্তির প্রতিলিপি জেলা পুলিশ সুপার, মহকুমাশাসক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং শান্তিনিকেতন থানাকে দেওয়া হয়েছে। অমর্ত্যের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল এখন বিদেশে রয়েছেন। চলতি বছরের জুনে তাঁর শান্তিনিকেতনে ফিরে আসার কথা। তিনি ফিরে এলে জমি মাপজোকে অথবা বিশ্বভারতীর শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে চান। কিন্তু সূত্রে জানা গিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অপেক্ষা করতে নারাজ। তাঁরা অমর্ত্যের অনুপস্থিতিতেই প্রতীচীর জমি মাপজোখ করতে চান ও বিতর্কিত জমির দখল নিতে চান। এর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েই অভিযানে নামতে চান স্বয়ং বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী(Bidyut Chakrabarty)।

আরও পড়ুন চা-বলয়ে ১০০ কোটির বিনিয়োগে ১২৫০জনের কর্মসংস্থান

মঙ্গলবার অমর্ত্য বিশ্বভারতীকে যে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁর কপি তিনি পাঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়েন্ট রেজিস্ট্রার এবং এস্টেট অফিসারকেও। সেই চিঠিতেই তিনি লিখেছেন, ‘১৯৪৩ সাল থেকে শান্তিনিকেতনের ‘প্রতীচী’ আমার পরিবারের এবং আমরা নিয়মিত ব্যবহার করছি। বাবার নামে থাকা জমি উত্তরাধিকার সূত্রে আমারই প্রাপ্য। আমি এই জমির মালিক। আমার বাবা আশুতোষ সেন এবং মা অমৃতা সেনের মৃত্যুর পর বাড়ির মালিকানা আমার কাছে এসেছে। লিজ নেওয়া এই জমি লাগোয়া আরও কিছু জমি কিনেছিলেন তাঁরা। গত ৮০ বছর ধরে জমির ব্যবহার একই রকম ভাবে রয়ে গিয়েছে। ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এই জমি নিয়ে বিরুদ্ধ কোনও দাবি যুক্তিগ্রাহ্য নয়। বোলপুরের ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন জমি নিয়ে বর্তমান ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত এবং এই নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ বা শান্তিভঙ্গের চেষ্টা করা উচিত নয়। আমি আগামী জুন মাসে শান্তিনিকেতনে ফিরব। তখন জমি নিয়ে আলোচনার পথ খোলা রইল।’ এখন দেখার বিষয় অমর্ত্যের এই চিঠি পাওয়ার প্রে আগামিকাল বিশ্বভারতী কোন পদক্ষেপ করে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

মেদিনীপুরের মাটি থেকে ‘গদ্দার’দের তীব্র আক্রমণ মমতার

‘সাংসদকে সরালেন কেন’ প্রার্থী বদল নিয়ে খোঁচা মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর