নিজস্ব প্রতিনিধি: জমি বিতর্ক নিয়ে এবার বড়সড় মন্তব্য করলেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন (AMARTYA SEN)। বললেন, দিল্লির কিছু মানুষ তাঁকে হয়তো পছন্দ করেন না। এর পেছনে তাঁরাও থাকতে পারেন। সেই সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিয়েও মুখ খুললেন তিনি।
এদিন অমর্ত্য সেন বলেন, ‘আমার জমি নিয়ে নিতে চাইছেন’। তারপরেই বলেন, কেউ যদি আপনার বাড়িতে গিয়ে বলে এটা তাঁর জমি, তবে কী হবে? নাম না করে আরও বলেন, তিনি নিজেও ওঁর (উপাচার্য)-র বাড়ি গিয়ে বলতে পারতেন তাঁর (অমর্ত্য সেন) পিতামহ এখানে থাকতেন। পরিচিত জায়গা বলে কয়েকজনকে নিয়ে এসে জমি মাপতে পারতেন। দেখা হতো কার কত অংশ।
এদিন নোবেলজয়ী দাবি করেন, ‘প্রতীচী’ বাড়ির জন্য জমি তাঁর বাবার কেনা। অমর্ত্য সেন বলেন, ওঁ অন্যের সঙ্গে যেই ব্যবহার করেন, অন্য কেউ তেমন করেন না। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি বিমর্ষ হয়ে পড়ছি লোকটার চিন্তাভাবনা দেখে’। অবিচার হচ্ছে দাবি করে নোবেলজয়ীর প্রশ্ন, কেন কর্তৃপক্ষ কিছু ভাবছেন না? উল্লেখ্য, এদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বিশ্বভারতীর কয়েকজন পড়ুয়া এবং শিক্ষক। তাঁরা ক্ষুব্ধ উপাচার্যের ব্যবহারে। সেই কথা জানিয়ে অমর্ত্য বলেন, সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘প্রতীচী’র ১৩ ডেসিমেল জায়গা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই অভিযোগ উড়িয়ে নোবেলজয়ীর দাবি, এই জমি তাঁর বাবার কেনা। বলেন, এর আগেও আইনি ভাবে জবাব দেওয়া হয়েছে। আবারও হবে।