32ºc, Haze
Sunday, 2nd April, 2023 4:35 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: অনুব্রত মন্ডলকে (Anubrata Mondal) সাত দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের (Police Custody) নির্দেশ দিল দুবরাজপুর আদালত (Dubrajpur Court)। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) এক কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগের তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলকে মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালতে তুলেছিল রাজ্য পুলিশ। এদিন আদালতে কেষ্টকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। পুলিশের সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে সাত দিনের জন্য হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অন্যদিকে দুবরাজপুর আদালতের এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে আইনি জটের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে ইডি যে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সেই পরিকল্পনায় সংশয় তৈরি হল।
মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালত নির্দেশ দেয়, দুবরাজপুর থানা এলাকার মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলকে পুলিশ হেফাজতে রাখতে হবে। অন্যদিকে, কেষ্টর আইনজীবীর তরফে এদিন আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়নি। প্রসঙ্গত সোমবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত ইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্দেশ দেয়, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি। সেই নির্দেশ পাওয়ার পর কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু তার মাঝেই বীরভূম জেলা পুলিশ মঙ্গলবার সাত সকালে কেষ্টকে নিয়ে হাজির হয় দুবরাজ আদালতে। দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান শিবঠাকুর মণ্ডলকে খুনের চেষ্টার অভিযোগের তদন্তে কেষ্টকে আদালতে তুলে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। যদিও আদালত ১৪ দিনের জন্য হেফাজতের নির্দেশ দেয়নি। অনুব্রত মণ্ডলকে ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
উল্লেখ্য রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান শিবঠাকুর মণ্ডলকে গলা টিপে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে কেষ্টর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন শিবঠাকুর। সেই খবর অনুব্রত মণ্ডল জেনে যান। আর তারপর তাঁকে মারধর করেন কেষ্ট। তাঁকে দুবরাজপুর তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে ডেকে এনে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুবরাজপুরের মেজে গ্রামের বাসিন্দা শিবঠাকুর বিষয়টি নিয়ে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।