নিজস্ব প্রতিনিধি,নদিয়া ও বারাসতঃ একেই বলে চোরের ১০ দিন, গৃহস্থের একদিন। গৃহকর্ত্রীর বুদ্ধিমত্তায় ধরা পড়লো ভাড়াটিয়া চোর। অবশেষে বারাসত থানার উদ্যোগে উদ্ধার হলো জিনিসপত্র। ঘটনাটি ঘটেছে হৃদয়পুর এলাকার প্রনবকন্যা আশ্রমের কাছে। চারমাস আগে সমস্ত নথি নিয়েই কোয়েল দেবনাথ(Koyel Debnath) বলে এক মহিলাকে ভাড়া দেন অনামিকা দাস নামে বাড়ির মালকিন। কয়েকদিন ধরেই বাড়ির নগদ টাকা, সোনার গহনা পরপর চুরি হচ্ছিলো। পুলিশকে জানানোর আগে ঘরের মধ্যে গোপন ক্যামেরা লাগান অনামিকা দেবী।
ব্যাস তাতেই চোর সনাক্ত হলো বাড়ি ভাড়াটিয়া কোয়েল দেবনাথ। ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হতেই গ্রেফতার কোয়েল। পুলিশি জেরাতে কোয়েল স্বীকার করে ডাকবাংলো কাছে একটি সোনার দোকানে চুরি করা মাল বিক্রি করেছে। সেইমতো বারাসত থানার(Barasat P.S.) পুলিশ গিয়ে সোনার গহনা উদ্ধার করে। অনামিকা দাস জানান, প্রথমে নগদ ১০ হাজার টাকা ও পরে ৭৭ হাজার টাকার সোনার গহনা চুরি যায়। পুলিশের ভুমিকায় খুশি আনামিকা দেবি ও তার পরিবার। এখন বিভিন্ন এলাকায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানোর ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ধরনের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে অতি সহজে যে কোন ঘটে যাওয়া অপরাধ কিনারা করতে পারছে পুলিশ। পুলিশের অভিজ্ঞ মহল মনে করছে প্রতিটি বাড়িতেই ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা উচিত।
অন্যদিকে,পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে ভর সন্ধ্যায় খুন হয় নদিয়ার করিমপুরে। রবিবার নদিয়ার করিমপুর থানার (Karimpur P.S.)গোপালপুর গ্রামে সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটা নাগাদ এক ব্যক্তি খুন হন। জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম দুলাল বিশ্বাস । বয়স ৬৪ বছর। পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়েই নাকি দেনাদার দুষ্কৃতীদের সহযোগিতায় তাকে বেধরক মারধর করা হয়।এমনই অভিযোগ পরিবারের পক্ষ থেকে। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে করিমপুর থানার পুলিশ। তবে মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সমগ্র এলাকা জুড়ে।