এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

অনুপ ঘোষাল: সফল গায়ক হলেও ব্যর্থ রাজনীতিবিদ

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: সব কিছু নয় সবার জন্য। অনেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বনামধন্য হতেই পারেন। কিন্তু তাঁরা যে ভাল রাজনীতিবিদও(Politician) হয়ে উঠবেন তাঁর কোনও গ্যারেন্টি কিন্তু নেই। এই যেমন ড. অনুপ ঘোষাল(Dr. Anup Ghoshal)। এদিনই তিনি প্রয়াত হয়েছেন ৭৮ বছর বয়সে। তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও(Mamata Banerjee)। কিন্তু দিনের শেষে যদি তাঁর মূল্যায়ণ করতে বসা হয় তাহলে দেখা যাবে তিনি খুব ভাল ও সফল গায়ক(Successful Singer and Musician) হয়ে উঠলেও সফল হতে পারেননি রাজনীতির ময়দানে। হুগলি জেলার(Hooghly District) উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের(Uttarpara Assembly Seat) তৃণমূল(TMC) বিধায়ক(MLA) হয়েও তাঁকে রাজনীতির জগত থেকে সরে যেতে হয়েছে।

ভৌগোলিক দিক থেকে অবশ্যই অনুপবাবু হুগলি জেলার বাসিন্দা নন। সত্যজিত রায়ের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ এবং ‘হীরক রাজার দেশে’র গান দিয়ে আমজনতা তাঁকে চিরকালের জন্য মনে গেঁথে রেখেছেন। আজও অনুপবাবুর গাওয়া গান বাঙালির মুখে মুখে ফিরলেও তা তাঁর ফের প্রার্থী হওয়ার পথে সহায়ক হতে পারেনি। ২০১১ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপাড়া থেকে ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেও তাঁকে সরে যেতে হয়েছিল ঠিক তার ৫ বছর পরের ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। মমতা তাঁকে টিকিটই দেননি। পরবর্তীকালে রাজনীতির ময়দানে সেভাবে তাঁকে দেখাও যায়নি। এমনকি মমতার আশেপাশেও নয়। কিন্তু কী এমন হয়েছিল যে মমতা তাঁকে আর প্রার্থীই করলেন না?

২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে অনুপবাবু পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ৪ হাজার ৭৫৩ ভোট। বামফ্রন্ট প্রার্থী পেয়েছিলেন ৬১ হাজার ৫৬০টি ভোট। কিন্তু সেই নির্বাচনে জেতার পরে উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে যতটা অনুপবাবুকে পাওয়া উচিত ছিল, তা পাওয়া যায়নি বলেই অভিযোগ। উত্তরপাড়ার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, দলের কারও সঙ্গেই তেমন যোগাযোগ রাখতেন না। দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগও এড়াতে পারেননি। সেই সঙ্গে মাথাচাড়া দিয়েছিল শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আকচাআকচি। উত্তরপাড়ায় নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত ভবনে দলের কার্যালয় খোলা নিয়েও দলের নেতাদের বিরূপ মনোভাবের সামনে পড়া—এসবই তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছিল। বিধায়ক হিসাবে পাঁচ বছরে ওই কেন্দ্রে অনুপ ঘোষালের নানা কাজকর্ম সাধারণ মানুষ ভাল ভাবে নেননি। এমনকী, এলাকায় তাঁর উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। উঠেছিল স্বজনপোষণেরও অভিযোগ। তাই মমতাও সিদ্ধান্ত নিতে পিছু পা হননি। ড. অনুপ ঘোষেলেরও আর সফল রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা হয়নি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

প্রচারে বেরিয়ে হিট স্ট্রোক, প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতা

ভোটগ্রহণের মাঝে কেন সন্দেশখালিতে সিবিআই অভিযান, কমিশনকে নালিশ তৃণমূলের

হাওড়ার ডুমুরজলায় হচ্ছে না মোদির সভা, বড় ধাক্কা রথীনের

দ্বিতীয় দফার জনমতও অনুকূলে থাকবে, দাবি তৃণমূলের, চাপে বিজেপি

নদিয়ায় জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনাই মৃত্যু হল এক যুবকের, শোকের ছায়া পরিবারে

অনলাইন প্রতারণা চক্রের ৬ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল শান্তিপুর থানা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর