এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ম্যাসাঞ্জোর ও তেনুঘাট যৌথ নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব, নজরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার বুকে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য এবার দিল্লিতে এক বিশেষ বৈঠকে বসতে চলেছেন এ রাজ্যের ও ঝাড়খণ্ডের সেচ দফতরের আধিকারিকেরা। আগামী ১৪ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে রয়েছে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের বৈঠকে। ওইদিনই বাংলা(Bengal) ও ঝাড়খণ্ডের(Jharkhand) আধিকারিকদের মধ্যে বরাকর(Barakar) ও ময়ূরাক্ষী(Mayurakshi) মধ্যে থাকা ২টি জলাধারের ওপর যৌথ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বৈঠক হবে কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের উপস্থিতিতে। এখন বরাকর নদীর ওপর থাকা তেনুঘাট জলাধার(Tenughat Dam) ও ময়ূরাক্ষী নদীর ওপর থাকা ম্যাসাঞ্জোর জলাধার(Massanjore Dam) ঝাড়খণ্ডের মধ্যে পড়েছে। কিন্তু তেনুঘাট জলাধারের ওপর ঝাড়খণ্ড সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকলেও ম্যাসাঞ্জোর জলাধারের ওপর সেই নিয়ন্ত্রণ তাঁদের নেই। ঝাড়খণ্ড সরকার এই জলাধারের ওপর আংশিক নিয়ন্ত্রণ যেমন চাইছে তেমনি বাংলার সরকারও তেনুঘাট জলাধারের ওপর আংশিক নিয়ন্ত্রণ চাইছে। সেই নিয়েই আগামী ১৪ তারিখ দুই রাজ্যের আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক হবে দিল্লিতে।

বাংলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য জন্য দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি(DVC) গড়ে তোলা হয় তখনই ঠিক করা হয়েছিল তৎকালীন বিহারের তেনুঘাটে বরাকর নদীর ওপর একটি জলাধার গড়ে তোলা হবে। সেই মতো তেনুঘাট জলাধার গড়ে তোলা হয় বরাকর নদীর ওপর। কিন্তু সেই জলাধারের ওপর বাংলার কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ফলে প্রতিবছরই দেখা যাচ্ছে এখনকার ঝাড়খণ্ড সরকার এই জলাধার থেকে বর্ষাকালে অনিয়ন্ত্রীত ভাবে জল ছাড়লেই ডুবে যাচ্ছে বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকা। বিশেষ করে হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া মহকুমা ও হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমা। তাই এই জলাধার থেকে জল ছাড়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে বাংলার সরকার তেনুঘাটের ওপর আংশিক নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়ে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। আবার বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সেচের জন্য ময়ূরাক্ষী নদীর ওপর গড়ে তোলা হয় ম্যাসাঞ্জোর জলাধার। এই জলাধারের ওপর বাংলার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে প্রথম থেকেই। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই জলাধারে সঞ্চিত জল পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ঝাড়খণ্ড সরকারও আংশিক নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়ে আসছে।

এবার এই দুই জলাধারের ওপর দুই রাজ্যের আংশিক নিয়ন্ত্রণ নিয়েই আগামী ১৪ তারিখের বৈঠকে আলোচনা হবে। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন দুই রাজ্যের সেচ দফতরের আধিকারিকেরা ছাড়াও কেন্দ্রের জলসম্পদ মন্ত্রকের আধিকারিকেরা। ওই বৈঠকের ফাঁকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান সহ আটকে থাকা বাংলার অন্যান্য প্রকল্প নিয়েও আলোচনা করবেন রাজ্যের আধিকারিকরা। বাংলার প্রাপ্য অর্থ দ্রুত ছাড়ার কথাও ফের একবার উঠবে। তবে ১টি বৈঠকেই ২টি জলাধারের ওপর দুই রাজ্যের যৌথ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি মীমাংসার মুখ দেখবে এমন আশা না করাই ভাল।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর