এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

হায় রে, ২০০ লোকও মিলছে না! মাথায় হাত বঙ্গ বিজেপির

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার ক্ষমতা দখল করতে পদ্মশিবিরের শীর্ষ নেতারা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের বহু আগে থেকেই কার্যত ডেলি প্যাসেঞ্জারি(Daily Passenger) শুরু করেছিলেন। সঙ্গে ছিল দলভাঙানোর প্রচেষ্টা, সিবিআই-ইডিও(CBI-ED) দিয়ে জেলে ঢোকানোর প্রচেষ্টা, কেন্দ্রীয় বাহিনী(Central Force) নামিয়ে বুথ দখলের প্রচেষ্টা, নির্লিপ্ত নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে ভোট লুঠের চেষ্টা। কিন্তু সব চেষ্টাই বৃথা গিয়েছে। একুশের ভোটে পদ্মপার্টিকে গোহারান হারতে হয়েছে। ২০০ আসনের হাঁক পেড়ে ৭৭ আসনেই থামতে হয়েছে। আর তারপর থেকে তো লাগাতার হার হেরেই চলেছে পদ্মশিবির। বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হোক কী লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন, পুরসভার নির্বাচন হোক কী মহকুমা পরিষদের নির্বাচন, প্রতিটি ক্ষেত্রে গোহারান হেরে চলেছে পদ্মপার্টি। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো বাম আর কংগ্রেসও তাঁদের থেকে ভাল ফল করছে। এই অবস্থায় পদ্মপার্টির মাথারা বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) নেতাদের হুকুম দিয়েছেন রাজ্যের বুথে(Booth) বুথে অন্তত ২০০ জন নেতা-কর্মীর যোগদান নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু যা অবস্থা বুথে বুথে ২০০ তো দূর, ২জন করেও সক্রিয় কর্মীর দেখা মিলছে না।

একুশের ভোটে গোহারান হারের পরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এইটুকু স্পষ্ট বুঝতে পেরেছেন যে, বঙ্গ বিজেপির নেতারা বাংলার প্রকৃত অবস্থার কথা তাঁদের জানাননি। বরঞ্চ, মিথ্যা আর ভুয়ো রিপোর্ট পাঠিয়েছেন দিল্লিতে। বাংলায় দলের হাল কেমন তা কার্যত ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তাঁদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। বাস্তব ছবিটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। একমাত্র মুকুল রায় বাংলায় দলের হাল নিয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন সেটাই সত্যি। সেই রিপোর্টে গুরুত্ব না দিয়ে আর বঙ্গ বিজেপির রিপোর্টকে ধ্রুব সত্য ধরে নিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ঝাঁপ দেওয়ায় গো হারান হারতে হয়েছে পদ্মপার্টিকে। যার জেরে মুখ পুড়েছে মোদি-শাহ-নাড্ডা। কিন্তু সেই হারের পরে পদ্মপার্টির নেতারা কিছুটা হলেও সতর্ক হয়েছেন। বাংলায় দলের সাংগঠনিক হাল যে খুবই খারাপ সেটা বুঝতে পেরে এবার এরাজ্যে দলের হাল ফেরাতে চাইছেন মোদি-শাহ-নাড্ডারা। তাঁরা এটাও বুঝেছেন বাংলায় বুথ স্তরে সংগঠন গড়ে তুলতে না পারলে তৃণমূলকে শুধু যে হারানোই কঠিন হয়ে পড়বে তাই নয়, এ রাজ্যে দলের অস্তিত্বও বিপন্ন হয়ে পড়বে। সেই সূত্রেই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যের বুথে বুথে অন্তত ২০০ জন নেতা-কর্মীর যোগদান নিশ্চিত করতে হবে।

কিন্তু এই নির্দেশ পালন করতে গিয়েই কার্যত হাস্যখোরক হতে হচ্ছে পদ্মনেতাদের। কেননা বুথে বুথে অন্তত ২০০ জন নেতা-কর্মীর যোগদান নিশ্চিত করা তো দূরে কথা শয়ে শয়ে বুথে ২জন করেও দলের সক্রিয় কর্মীর দেখা মিলছে না বলে বঙ্গ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্যের ১০ হাজার বুথে কমিটি গঠন তো দূরের কথা সব বুথে ২০জন করে কর্মীও পাওয়া যাচ্ছে না। আর এর মূল কারণ দলের আদি বনাম নব্য দ্বন্দ্ব। দলের আদি তথা পুরাতন নেতাকর্মীরা কার্যত বসে গিয়েছেন। ভিন্ন দল থেকে যারা এসেছিলেন তাঁরাও আবার পুরাতন দলে ফিরে যাচ্ছেন। ফলে জায়গায় জায়গায় এখন বিজেপির কঙ্কালটুকুই পড়ে আছে। বহু জায়গায় দলের পার্টি অফিসটুকু পর্যন্ত খোলার লোক নেই। তারপরেও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে বাংলার ৭৭ হাজার বুথে নতুন করে সংগঠন গড়তে নামছেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও তাতে কাজের কাজ কিছু হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে দলেরই অন্দরে। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘খেলা হবে’, বাঁকুড়ায় নির্দল হিসাবে মনোনয়ন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতার

দীর্ঘদিন নেতাদের দেহরক্ষী থাকতে পারবে না পুলিশকর্মী, নয়া নিয়ম আনছে নবান্ন

মাত্র পাঁচ মিনিটের ঝড়, তছনছ হয়ে গেল মথুরাপুরের একাধিক বাড়ি

ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা, রাতে হানা আয়কর বিভাগের

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাষের জমি লুটের অভিযোগ শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর