এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলার মাটিতে ধারাবাহিক পরাজয় বিজেপির, ২৪’র চিন্তা পদ্মশিবিরে

Courtesy - Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের ভোটে হার। দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ, সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর, গোসাবা, ভবানীপুর, বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের সাধারন ও উপনির্বাচনে হার। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে হার। কলকাতা, বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর, শিলিগুড়ি পুরনিগমের নির্বাচনে হার। শতাধিক পুরসভার নির্বাচনে হার। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে হার। পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনে হার। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হার। এবার ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও হার। কার্যত বাংলার(Bengal) মাটিতে হারের নয়া রেকর্ড গড়ল বিজেপি(BJP)। এদের মধ্যে দিনহাটা, শান্তিপুর, ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র বিজেপিরই দখলে ছিল। আবার শিলিগুড়ি পুরনিগম এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে তাঁদেরই এগিয়ে রাখা হয়েছিল জয়ের জন্য। কিন্তু হিসাব মেলেনি। ঠিক যেমন হিসাব মিললো না ধূপগুড়িতে(Dhupguri By Election 2023)।

আগামী বছর দেশে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে নিজেদের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত উত্তরবঙ্গে এদিন জোর ধাক্কা খেল বিজেপি। তৃণমূলকে এই উপনির্বাচনে হারের মুখ দেখাতে এবং বিজেপিকে জিতিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েও বাম-কংগ্রেস আলাদা প্রার্থী দিয়েছিল ধূপগুড়িতে। কিন্তু সেই জোট কোনও প্রভাব ফেলতে পারল না। বিজেপিকে হারতে হল, তৃণমূলই(TMC) শেষ হাসি হাসল। মাঝখান থেকে বিজেপির বি-টিম বাংলার বাম-কংগ্রেস জোট জমানত হারিয়ে বসে থাকল। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে ২৪’র যুদ্ধে(General Election 2024) তাহলে কী হবে? অমিত শাহ তো বেশ বড় মুখে দাবি করে গিয়েছেন, বাংলা থেকে ২৪’র যুদ্ধে চাই ৩৫টি আসন। কিন্তু ধূপগুড়ির ফল বলছে সাড়ে ৩ খানিও আসন বিজেপির ভাগ্যে জুটবে কিনা সন্দেহ। কেননা যে ভোট ব্যাঙ্কের কাঁধে ভর দিয়ে বিজেপির বঙ্গ বিজেপির অভিযান শুরু হয়েছিল উনিশের ভোটে, সেই রাজবংশী ভোট, মতুয়া ভোট, আদিবাসী ভোট, বামপন্থীদের ভোট সবই ক্রমশ হাতছাড়া হয়েছে এবং হয়ে চলেছে। ধূপগুড়ি তার প্রমাণ।

উনিশের ভোটে ধূপগুড়িতে থেকে বিজেপি পেয়েছিল ১,০৫,৭২৯টি ভোট। তৃণমূল পেয়েছিল ৮৭,৯৬৩টি ভোট। একুশে সেই বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজেপি পেয়েছিল ১,০৪,৬৮৮টি ভোট। আর তৃণমূল পেয়েছিল ১,০০,৩৩৩টি ভোট। অর্থাৎ মাত্র ২ বছরের মধ্যে ধূপগুড়িতে বিজেপি ১ হাজার ভোট হারিয়েছিল এবং তৃণমূল প্রায় ১৩ হাজার ভোট বাড়িয়ে নিয়েছিল। কিন্তু ওই দুই নির্বাচনেই তৃণমূল ৪৪ শতাংশ ভোট ধরে রেখেছিল। এবারে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে ৪৪ শতাংশ ভোট। সেখানে তৃণমূল প্রায় ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এই ছবিটাই কিন্তু বলে দিচ্ছে ধূপগুড়িতে ক্রমশ জমি হারিয়ে চলেছে বিজেপি।

শুধু ধূপগুড়িই নয়, গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে জমি হারাচ্ছে বিজেপি। কেননা একুশের ভোটে যে আলিপুরদুয়ার জেলায় বিজেপি সেখানকার ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছিল সেই জেলাতেই তাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে না জেলা পরিষদ দখল করতে পেরেছে না কোনও পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে পেরেছে। এই ছবিটাই এখন ভাবাচ্ছে পদ্মশিবিরকে। ৩৫ তো দূরের কথা, হারের এই ধারাবাহিকতা সাড়ে ৩টে আসনও কী এনে দেবে বাংলার মাটিতে ২৪’র ভোটে? বঙ্গ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের হারের পরে বঙ্গ বিজেপির সংগঠনে বড় ঝাঁকুনি দিতে চলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। ধাক্কা নেমে আসতে পারে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) ওপরে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দাদা ইউসুফের নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ভাই ইরফান

সন্দেশখালিকাণ্ডে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল

‘পরিসংখ্যানের লড়াই হোক, শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন’, মোদিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

সন্দেশখালিকাণ্ডে রেখা পাত্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের

‘সন্দেশখালির বেলুন আলপিন ফুটেছে, চক্রান্ত এখন জনসমক্ষে’, বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের

প্রচারের শেষলগ্নে চণ্ডীপাঠের মন্ত্র বিকৃত করার অভিযোগে বিদ্ধ অসীম

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর