এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

আস্থা মমতায়, আস্থা স্বাস্থ্যসাথীতে, ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিনিধি: নিঃশব্দ বিপ্লব বললেও বড় কম বলা হয়। ২০১১ থেকে ২০২৩, প্রায় এক যুগ মানে ১২ বছর। এই সময়েই রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের(State Health Sector) হাল যে রীতিমত বদলে গিয়েছে সেটা অতিবড় নিন্দুকেরাও মানবেন। বদলেছে সরকারি হাসপাতাল, বদলেছে সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা(Government Medical Service)। বাংলা পেয়েছে প্রতিটি জেলায় নূন্যতম একটি করে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, পেয়েছে একের পর এক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং সর্বোপরি বাংলার মানুষ পেয়েছে স্বাস্থ্যসাথী। আর এই সব কিছু যিনি দিয়েছেন, যার পরিকল্পনায় এই নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটে গিয়েছে, তিনি আর কেউ নন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তাঁর নিরলস পরিশ্রম আজ বাংলার স্বাস্থ্য চিত্রের ছবিটাই আমূল বদলে দিয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের সমীক্ষা বলছে ২০১৮ থেকে ২০২২, এই পাঁচ বছরে বাংলার বড় সরকারি হাসপাতালগুলিতে(Government Hospitals) আউটডোরে(Outdoor Service) রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ। আর এই রোগী বাড়ার নেপথ্য রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী(Sasthasathi Card), রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মানুষের বিশ্বাস জন্মেছে সরকারি হাসপাতালে গেলে তাঁরা চিকিৎসা পাবেন, স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পাবেন।

আরও পড়ুন ম্যাজিগ ফিগার থেকে সামান্য বেশি, বেশ চাপে মোদি

স্বাস্থ্যভবনের দাবি, বাংলায় যত বড় সরকারি হাসপাতাল আছে মানে জেলায় জেলায় বা কলকাতায় যত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল কিংবা মহকুমা হাসপাতাল রয়েছে সেখানে বিগত ৫ বছরে আউটডোরে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ। মানে গড়ে বছরে ১০ লক্ষ করে। বাংলার সরকারি হাসপাতালে এখন রোগী ভর্তি হয় ৩ ভাবে। এক, আউটডোরে ডাক্তার দেখানোর পরে ভর্তি জন্য সুপারিশের মাধ্যমে, দুই, জরুরি ভিত্তিতে এবং তিন, রেফারের মাধ্যমে। সব থেকে বেশি রোগী ভর্তি হন এখনও আউটডোরের মাধ্যমেই। বাম জমানায় কিন্তু এই আউটডোর চিকিৎসা পরিষেবা তো বটেই সরকারি চিকিৎসার ওপর থেকেই আমজনতার আস্থা, বিশ্বাস, ভরসা সবটাই উবে গিয়েছিল। কার্যত প্রায় সব হাসপাতালেই দেখা যেত ডাক্তার আছে তো পরিকাঠামো নেই, বেড আছে তো ডাক্তার নেই। বাধ্য হয়ে আমজনতা পাড়ি জমাতেন ভিড় রাজ্যে। কার্যত হয়রানির মুখে পড়তেন। সব থেকে খারাপ অবস্থা হত, যাদের ভিন রাজ্যে বা এ রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য ছিল না, তাঁদের। হাসপাতালে ভর্তি হলেও সেই রোগী বেঁচে বাড়ি ফিরবে কিনা সেটাই জোর গলায় হলফ করে কেউ বলতে পারত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ছবিটাই বদলে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন মুড়ি-মুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক, বড় বিপদের মুখে বাংলা

অস্বীকার করার উপায় নেই, শুধু উন্নত চিকিৎসা পরিকাঠামোর নির্মাণই শুধু নয়, পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও তিনি বদল এনেছেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মানসিকতায়। কড়া হাতে স্বাস্থ্য দফতরের প্রশাসন নিজের হাতে তুলে নিতে বিন্দুমাত্র দেরী করেননি তিনি। অতিবড় বিক্ষোভ, আন্দোলন, সমালোচনা, কোনও কিছুই তাঁকে দমাতে পারেনি। যে বাংলায় চিকিৎসক নিগ্রহ, রোগীর পরিজনদের হামলাবাজি বা তাঁদের মারধর কার্যত নির‍্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেটাই এখন তিনি কার্যত অতীত বানিয়ে দিয়েছেন। আর আমজনতার বিশ্বাস জিতে নিয়েছেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যেম। মানুষ বুঝেছেন বাংলার বুকে এখন বিনা খরচেই সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে উন্নত মানের চিকিৎসা পাওয়া যাবে। তাই তাঁরা ভিড় জমাচ্ছেন বাংলার সরকারি হাসপাতালে। যে বিশ্বাসটা বাম জমানায় ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল সেই বিশ্বাসটাই মমতা সক্ষম হয়েছেন ফের ফিরিয়ে আনতে। ২০১৮ সালে রাজ্যের মধ্যে বড় সরকারি হাসপাতাল বা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের আউটডোরগুলিতে রোগী এসেছিলেন ১ কোটি ৬৮ লক্ষ। সংখ্যাটি ২০১৯ সালে বেড়ে হয় ১ কোটি ৯০ লক্ষ। গত বছর তা আরও বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ১৪ লক্ষ। ২০২২ সালে সেটাই দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৬ লক্ষ।

আরও পড়ুন ‘দিল্লির কিছু মানুষ হয়তো আমাকে পছন্দ করেন না’, মন্তব্য অমর্ত্যের

স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরাও মানছেন, এই বদলের নেপথ্যে রয়েছে মমতার ফ্রি মেডিসিন পরিষেবা, স্বাস্থ্যসাথীর উপকারিতা। সামান্য ২ টাকার আউটডোর টিকিট ছাড়া সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার পুরোটাই ফ্রি এই রাজ্যে। নিখরচায় চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে ওষুধ, পেসমেকার, স্টেন্ট, ইমপ্ল্যান্ট, ক্যাথিটার, বেলুন এমন অনেক কিছুই। এমনকী টিসিডিসি, ইএসআর থেকে টি থ্রি, টি ফোর, টিএসএইচ, সিটি স্ক্যান থেকে পেট সিটি, এমআরআই থেকে ডিএসএ—ছোট, মাঝারি, বড় সব রোগ ও রক্ত পরীক্ষাই সরকারি ক্ষেত্রে ফ্রি। এর পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে নিখরচায় সব ধরনের অপারেশন করাতে পারছেন। চিকিৎসা করাতে পারছেন, এমনকি অঙ্গ প্রতিস্থাপন, হাড়ের প্রতিস্থাপন, চামড়ার প্রতিস্থাপন করাতে পারছেন। দেশের আর কোনও রাজ্যে এত পরিষেবা মেলে না। এখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব থেকে বড় সাফল্য। তিনি পেরেছেন আমজনতার আস্থা অর্জন করতে, তাঁদের ফের সরকারি হাসপাতালমুখী করে তুলতে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর