নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলায়(Bengal) ছাড়িয়ে গেল লক্ষ্যমাত্রা। এই লক্ষ্যমাত্রা ভোট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল না। ছিল কেন্দ্রের একটি প্রকল্পের সঙ্গে আমজনতার যোগসাধনের লক্ষ্যমাত্রা যা অর্পিত হয়েছিল ডাক বিভাগের(India Post) ওপর। সেই লক্ষ্যমাত্রা সফল ভাবেই ছুঁতে পেরেছে ডাকবিভাগ। শুধু যে ছুঁতে পেরেছে তাই নয়, লক্ষ্যমাত্রার থেকে কিছুটা বেশিই এসে গিয়েছে ঝুলিতে। তার জেরে বাংলার বুকে মুখরক্ষা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi)। চলতি ত্রৈমাসিকে বেশ কয়েকটি স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা। কেননা আগে থেকেই সেখানে বার্ষিক সুদের হার ৭.৬ শতাংশ রাখা হয়েছে। তবু এই স্কিমকে সফল প্রকল্প হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister)। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উৎসবের অংশ হিসেবে দেশজুড়ে সাড়ে ৭ লক্ষ সুকন্যা সমৃদ্ধি(Sukanya Samridhi Yojna) অ্যাকাউন্ট খোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে ওই অ্যাকাউন্ট খোলার টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৬০ হাজার অ্যাকাউন্ট খোলার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল। ১০ ফ্রেব্রুয়ারি, অর্থাৎ শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত দু’দিনে এরাজ্যে সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৭৭ হাজার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে এরাজ্য।
আরও পড়ুন দেশজুড়ে বন্ধ অনলাইনে ওষুধ বিক্রি, নির্দেশ কেন্দ্রের
কোনও অভিভাবকের কন্যা সন্তান থাকলে, তার ১০ বছর বয়স পর্যন্ত খোলা যায় সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট। সেখানে বছরে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা করা যায়। মেয়ের ২১ বছর বয়স না হলে ওই টাকা তোলা যায় না। এই প্রকল্পে পোস্ট অফিসের এজেন্টদের কোনও কমিশন দেয় না সরকার। তাই তাঁরাও গ্রাহককে এই স্কিম বিক্রি করায় আগ্রহ হারান। এখানে সুদের হার অন্য কয়েকটি সঞ্চয় প্রকল্পের তুলনায় সামান্য বেশি হলেও, এর সাফল্যের হার খুব একটা ভালো নয়। যেহেতু নরেন্দ্র মোদি সরকার এই প্রকল্পটি চালু করেছে, তাই এর সাফল্য সরকারের কাছে প্রেস্টিজ ইস্যু। কার্যত সেই প্রস্টিজ রক্ষার দায় বর্তেছিল ডাকবিভাগের ওপরেই। হয়। ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে ওই অ্যাকাউন্ট খোলার টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয় ডাকবিভাগকে। দেখা যাচ্ছে, এই ২ দিনে মোদির মান রক্ষায় দেশে প্রায় ৯ লক্ষ ৬৩ হাজার সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাতেই খোলা হয়েছে সাড়ে ৭৭ হাজার অ্যাকাউন্ট। অর্থাৎ মোদির মুখ রেখেছে বাংলা। তবে সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে ১ লক্ষেরও বেশি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এরপর রয়েছে রাজস্থান, কর্ণাটক ও উত্তরপ্রদেশ। তারপর রয়েছে বাংলা।