নিজস্ব প্রতিনিধি: একেই বলে চোরের মায়ের বড় গলা। এসে থেকেই বিশ্বভারতীজুড়ে জমি চুরি, গাছ চুরি, টাকা চুরি নিয়ে সরব হওয়া বিদ্যুৎ চক্রবর্তী(Bidyut Chakrabarty) কিনা শেষে ‘ফোন চু্রি’ করেই পগার পার হলেন! দেখ কান্ড। কী অদ্ভূত মিল দেশের শাসক দলের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের(Viswabharati University) প্রাক্তন উপাচার্য(Former Vice Chancellor) বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া ৩টি মোবাইল ফোন(Mobile Phone) ফেরত না দিয়ে সেগুলি নিয়েই পালিয়েছেন। আর তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তাঁর শেষ মাসের বেতন থেকে সেই ৩টি মোবাইলের টাকা কেটে নিয়েছে। বিদ্যুতের বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৮ নভেম্বর। সেই হিসাবে ওই মাসের ৮ দিন কাজের বেতন হিসাবে তাঁর ৪৯ হাজার টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৩টি মোবাইলের দাম বাবদ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর সেই শেষ বেতন(Last Salary) থেকে ৪৫ হাজার কেটে নিয়ে মাত্র ৪ হাজার টাকা পাঠিয়েছে।
উপাচার্য হয়ে আসা ইস্তক বিদ্যুৎ নানা বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। মেয়াদ ফুরনোর পরেও এখন দেখা যাচ্ছে বিতর্ক তাঁর পিছু ধাওয়া করে চলেছে। বিদ্যুতের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া ৩টি মোবাইল ফোন ফেরত না দিয়েই তিনি বিশ্বভারতী ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তাঁর শেষ বেতন থেকে ৪৫ হাজার টাকা কেটে তাঁকে ৪ হাজার টাকা পাঠিয়েছে। যদিও তিনি সব ভাতা মিলিয়ে বেতন বাবদ মাসে ৩ লক্ষ টাকা করে পেতেন। ৪৫ হাজার টাকা না পেলে তাঁর যে কিছু গায়ে লাগবে না সেটা যে কেউ বুঝতে পারেন। কার্যত বিদ্যুতের এই ‘ফোন চুরি’র অভিযোগ সামনে আসতেই নতুন করে তাঁর বিরুদ্ধে ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, বাংলা মায় দেশজুড়েই। বিশ্বভারতীর মতী একটি স্বনামধন্য কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য যে এহেন ‘চুরি; সম্পাদন করতে পারেন সেটা জেনেই লোকে এখন ছিঃ ছিঃ করছে।