এই মুহূর্তে




শুভেন্দু নিজে আগে ক্ষমা চান, সরব বীরবাহা




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অখিল গিরি(Akhil Giri) দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে(Draupadi Murmu) উদ্দেশ্য করে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন সেই ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি ওই ইস্যুকে হাতিয়ার করে রে রে করে মাঠে নেমে পড়েছিল গিরি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় প্রথমে অখিল গিরি নিজে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তার জেরে ওই ঘটনা থিতিয়েও যায়। কিন্তু ফের ওই ঘটনাকে ঘিরে রাজনীতি করার জন্য রাজ্য বিধানসভায়(West Bengal State Assembly) মুলতবি প্রস্তাব তুলেছিল বিজেপি(BJP)। সেই প্রস্তাবে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কর্ণপাত করেননি। তার জেরে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ থেকে যখন বিজেপির বিধায়কেরা ওয়াকআউট করছেন তখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে(Suvendu Adhikari) উদ্দেশ্য করে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন রাজ্যের বনদফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা আদিবাসী কন্যা বীরবাহা হাঁসদা(Birbaha Hansda)। সাফ জানালেন, বিজেপি আর শুভেন্দু গিরিকাণ্ডে হাওয়া গরম করার আগে তাঁকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন তাঁর জন্য তিনি ক্ষমা চান।

আরও পড়ুন ৩ হাসপাতাল ঘুরে স্ট্রোকের রোগী মঞ্জু ফিরলেন বেহালার বাড়িতে

অখিল গিরিকে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত ও তাঁকে গ্রেফতার করার দাবি আগেই তুলেছিল বিজেপি। সেই একই দাবি তুলে, সোমবার রাজ্য বিধানসভায় মুলতবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। এদিন সেই প্রস্তাব আনার পাশাপাশি, বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে আগে থেকেই বেশ তৈরি হয়ে এসেছিলেন গেরুয়া ব্রিগেডের বিধায়কেরা। আদিবাসীদের পাঞ্চি উত্তরীয় পরে এবং দ্রৌপদী মুর্মুর স্টিকার জামায় সেঁটে বিধানসভা কক্ষে প্রবেশ করেন তাঁরা। তারপর বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে তাঁরা মুলতবি প্রস্তাব জমা দেন ও গিরিকে বরখাস্ত করার দাবিতে সোচ্চার হন। কিন্তু বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সাফ জানিয়ে দেন, বিষয়টি আদালতের বিচারধীন। তাই বিধানসভা এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ করবে না। এরপরেই বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে দিতে বাইরে বেরিয়ে যান। বিধানসভার বাইরে এসে শুভেন্দু বলেন, ‘মন্ত্রী অখিল গিরি দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে আক্রমণ করেছেন। এই ঘটনায় সারা ভারত উত্তাল হয়েছে। আমরা তাঁকে বরখাস্ত করার এবং গ্রেফতার করার দাবি করছি। আমরা মুলতুবি প্রস্তাব জমা গিয়েছিলাম। আমাদের সেই মুলতুবি প্রস্তাব বাতিল করেছেন বিধানসভার স্পিকার। আলোচনার সুযোগও দেওয়া হয়নি। সেই কারণে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং স্পিকার বাধ্য হয়েছেন সভা মুলতুবি করতে।’

আরও পড়ুন বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ২১টি পুরসভাকে সতর্ক করলেন ফিরহাদ

শুভেন্দু যখন এই দাবি তুলছেন তখন বিধানসভার ভিতরেই তাঁকে নিশান বানিয়েছেন বীরবাহা। তাঁর দাবি, ‘বিজেপি আদিবাসী প্রেমের কথা বলে। অথচ সেই বিজেপির বিধায়ক এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সেই সম্প্রদায়ের মানুষের অপমান করছেন। আমাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। আমি আদিবাসী কন্যা। আমাকে উদ্দেশ্য করে যে মন্তব্য উনি করেছেন তা সমগ্র আদিবাসী জাতির অপমান। সেই মন্তব্যের জন্য উনি আগে আমার কাছে ক্ষমা চান। আমি আর জ্যোৎস্না মাণ্ডি বিধানসভায় আছি। আমরা দুইজনই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। আমাদের অপমান করেছেন তিনি। আমাদের কাছে আগে ক্ষমা চান উনি। তারপর অখিল গিরিকে নিয়ে সরব হবেন।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নিউটাউন থানার আইসি’কে ৭ দিনের মধ্যে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

দিনদুপুরেই গেদে সীমান্ত পেরিয়ে গ্রামে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জমির ফসল লুট করছে বাংলাদেশিরা

ফারাক্কায় নাবালিকা ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে ৬০ দিনেই বিচার শেষ, শুক্রবার সাজা ঘোষণা

বাংলায় খুন করে গুজরাতে গা ঢাকা, পুলিশের জালে তবলাবাদকের ‘খুনি’

ফিরে দেখা: প্রথমবার মাদারিহাট বিধানসভার দখল নিল তৃণমূল

সীমান্তের ছাত্র-ছাত্রী ও যুব সমাজকে মাঠমুখী করতে বিশেষ উদ্যোগ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর