এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

উত্তরবঙ্গের জেতা আসনেও নেই বিজেপির বুথ কমিটি

নিজস্ব প্রতিনিধি: দুটি নির্বাচনে দুই হাত ঢেলে মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। প্রথমটি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং দ্বিতীয়টি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। প্রথম নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের(North Bengal) ৮টি আসনের মধ্যে ৭টিতেই ফুটেছিল পদ্মফুল। তার ঠিক ২ বছর বাদে বিধানসভার নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের ৫৪টি আসনের মধ্যে পদ্মশিবির জয়ের মুখ দেখেছিল ৩০টি আসনে। কিন্তু সময় গড়াবার সঙ্গে সঙ্গে সেই সব আসনে জেতা বিধায়কদের ধরে রাখতে পারছে না বিজেপি(BJP)। গতকালই তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। তার আগেই অবশ্য উত্তর দিনাজপুরের ২জন বিজেপি বিধায়ক(MLA) পা বাড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের দিকে। তৃণমূলের দাবি, উত্তরবঙ্গেরই আরও ৪-৫জন বিজেপি বিধায়ক ও ১জন সাংসদ(MP) তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দলের বিধায়ক ও সাংসদদের কেন ধরে রাখতে পারছেন না বঙ্গ বিজেপির নেতারা? খামতি থেকে যাচ্ছে কোথায়? আর সেই সব অনুসন্ধানে নেমে উঠে আসছে একের পর এক ঘটনা।

আরও পড়ুন Ganga River Basin প্রকল্পে বাংলার ৫ পুরসভাকে ১১ কোটি টাকা

বঙ্গ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের জনতা বিজেপির হাতে উনিশের ভোটে ৭জন সাংসদ ও একুশের ভোটে ৩০জন বিধায়ক তুলে দিলেও আজও সেখানকার বেশির ভাগ আসনের বুথ স্তরে বিজেপি কমিটি(Booth Commety) গঠনই করে উঠতে পারেনি। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুর ও মালদা সর্বত্র ছবিটা এক। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, শুধুমাত্র শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলায় ১৮৩টি বুথে বিজেপি এখনও পর্যন্ত কোনও কমিটিই গড়ে তুলতে পারেনি। শুধু তাই নয়, যেখানে যেখানে সেই কমিটি গড়ে তোলাও হয়েছে তার মধ্যে আবার একটা বড় অংশে দলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে কমিটিও নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে রয়েছে। এদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। দলের রাজ্য পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসকে টক্কর দিতে বুথস্তরে দলের ভিত মজবুত করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সেই পরামর্শের বাস্তবায়ন ঘটবে কিনা তা নিয়ে ঘোর সংশয় রয়েছে খোদ পদ্মশিবিরের অন্দরেই।

আরও পড়ুন হিঙ্গলগঞ্জে ২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের নদী পাড় মেরামতে ৯ কোটির বরাদ্দ

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমজনতা দুটি নির্বাচনে দুই হাত ঢেলে ভোট দিলেও বুথ স্তরে কেন কমিটি গড়তে পারছে না বিজেপি? জানা গিয়েছে, উনিশের ভোটে উত্তরবঙ্গের ৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৭টিতেই জয়ের মুখ দেখে গেরুয়া শিবিরের নেতারা ভেবে নিয়েছিলেন একুশের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গদি ওল্টাবেই। তাই সকলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন আগে থেকেই নিজ নিজ আখের গোছাবার পাশাপাশি দলে নিজের খুঁটির জোর বাড়ানোর কাজে। বুথ স্তরে কমিটি গঠন বা সংগঠন গড়ে তোলার দিকে তাঁরা মন দেননি। একুশের ভোটে সেই মমতাই জিতে গিয়ে তৃতীয়বারের জনহ বাংলায় সরকার গড়তেই বিজেপি থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেন আমজনতা। সেই সময় থেকেই কার্যত ধস নামতে শুরু করে বুথ স্তরের সংগঠনে। এখন তো সেখানে না আছে কার্যালয় খোলার মতো কর্মী না সেখানে বসে আমজনতার অভাব-অভিযোগ শোনার মতো কর্মী। তবে সব থেকে বড় প্রভাব ছড়িয়েছে থেকে থেকেই বিজেপির নেতা থেকে মন্ত্রী মায় সাংসদ থেকে বিধায়কদের উত্তরবঙ্গ ভেঙে টুকরো টুকরো করার হুমকি ধমকিতে। কেই বলছেন গোর্খাল্যান্ড চাই, কেউ বলছেন পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য চাই, কেউ বা আবার বলছেন পৃথক কামতাপুর রাজ্য চাই। এই ভাঙাভাঙির খেলা মোটেও ভাল চোখে নিচ্ছেন না উত্তরবঙ্গের মানুষ। তা৬রা তাই নীরবেই সরে যাচ্ছেন বিজেপির পাশ থেকে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘কেন চকোলেট বোমা ফাটলেও CBI, NSG-র দরকার পড়ে’, সন্দেশখালি কাণ্ডে সরব মমতা

বিজেপি নেতার বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ভোটের মুখে হাসনাবাদে ছড়াল উত্তেজনা

দুর্গাপুরে ফের চোট পেলেন মুখ্যমন্ত্রী, হেলিকপ্টারে বসতে গিয়ে বিপত্তি

প্রচারে বেরিয়ে হিট স্ট্রোক, প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতা

ভোটগ্রহণের মাঝে কেন সন্দেশখালিতে সিবিআই অভিযান, কমিশনকে নালিশ তৃণমূলের

হাওড়ার ডুমুরজলায় হচ্ছে না মোদির সভা, বড় ধাক্কা রথীনের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর