নিজস্ব প্রতিনিধি, শীতলখুচি (কোচবিহার): নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। আর তার জেরে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়াদের হাতে মার খেলেন কয়েকজন নিরাপরাধ মহিলা। অভিযোগ তেমনই। এই ঘটনায় এলাকা রীতিমতো থমথম করছে।এই খবর লেখা পর্যন্ত বাহিনীর তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সীমান্তের গেট পেরিয়ে জিরো পয়েন্ট কাজ করতে গেলে বিএসএফের কাছে এলাকাবাসীকে আধারকার্ড জমা রাখতে হয়। শনিবারেও তার অন্যথা হয়নি। লালবাজারের কয়েকজন গ্রামবাসী জিরোপয়েন্টে কাজ করতে গিয়েছিলেন। এই সময়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শিফট বদল হয়। পরের শিফটে যাঁরা দায়িত্বে আসেন, তাঁরা আচমকাই জিরোপয়েন্টে কর্মরত গ্রামবাসীদের ওপর চড়াও হন। শুরু হয় মারধর। বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে বেশ কয়েকজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজন রেজিনা বিবি।
জানান, মাঠে কাজ করার সময় সেখানে আচমকাই একটি গরু বাংলাদেশ সীমানায় ঢুকে পড়লে হৈচৈ শুরু হয়। রে রে করে তেড়ে আসে বিএসএফের জওয়ানরা। শুরু হয় নির্বিবাদে মার। গোলমালের খবর পেয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক পদস্থকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। জওয়ানদের সেখান থেকে সরিয়ে জখমদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। বাহিনীর এই মানবিকতায় এলাকার মানুষের ক্ষোভ বিন্দুমাত্র কমেনি। তারা অভিযুক্ত জওয়ানদের শাস্তি চাইছে।
এক গ্রামবাসীর বয়ান অনুযায়ী, এই মারধর স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে, সীমান্তের ছ নম্বর গেটের দায়িত্বে থাকা বিএসএফের এক জওয়ানকে এই মারধরের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এমন কোনও ঘটনার কথা তিনি জানেন না। হলেও সেটা তার এলাকায় হয়নি।