নিজস্ব প্রতিনিধি: সুন্দরবন হবে বাস শূণ্য। এমনই সিদ্ধান্ত নিল জেলার বাস ও মিনিবাস সংগঠন। তাঁদের সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছে হোটেল মালিক- কর্মী, গাইড থেকে পর্যটকদের। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন বাস সংগঠনের সদস্যরা? তাঁরা জানিয়েছেন, মাত্রাতিরিক্ত পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি বাড়ছে বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, মাত্রাতিরিক্ত জ্বালানির দাম বাড়ানো হলেও সেই তুলনায় বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠন।
মূল কারণ, বাস (Bus) ভাড়া বৃদ্ধির জন্য প্রতিবাদ কর্মসূচি হলেও রয়েছে আরও একাধিক দাবি। নিজেদের দাবি আদায়ে তাই সুন্দরবন বাস শূণ্য করার সিদ্ধান্তে অনড় সংগঠন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আন্দোলন শুরু করেন সংগঠনের সদস্যরা। রায়দিঘী বিডিও (BDO) অফিসের সামনে দেখানো হয় বিক্ষোভ। জেলার বাস ও মিনিবাসের (Mini Bus) মালিকদের নিয়ে এই সংগঠন। তাঁদের দাবি, ভাড়া না বাড়ার জন্য বাস চালানো যাচ্ছে না। বলা হয়, জ্বালানির পাশাপাশি গাড়ির যন্ত্রাংশের দামও বাড়ছে। তবুও বাড়ানো হচ্ছে না বাসের ভাড়া। বেআইনি বাস চলার অভিযোগও তুলেছে সংগঠন। অভিযোগ, বিভিন্ন রুট জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে বেআইনি বাস। ফলে আইন মেনে বাস চালানো মালিকদের লোকসান হচ্ছে সব দিক থেকেই। তাই বাধ্য হয়েই এই বিক্ষোভ কর্মসূচি। অন্য উপায় না দেখেই রাস্তাকে বাস শূণ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার ডাকা হয়েছিল বনধ (Strike)।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন এলাকার পাথরপ্রতিমা, নামখানা, রায়দিঘী, কাকদ্বীপ রুটে যাতায়াত করেন অগুণতি। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাস ধর্মঘটের জন্য অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী থেকে এলাকাবাসী ও হোটেল মালিক- কর্মী, গাইড থেকে পর্যটক।